[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ ২৮ ডিসেম্বর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুর-ডি সিএইচটি মাউন্টেন বাইক প্রতিযোগিতা-২০২০’ অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এই প্রতিযোগিতা উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুর-ডি সিএইচটি মাউন্টেন বাইক প্রতিযোগিতা-২০২০’ আয়োজন করেছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বিশ্বনন্দিত ‘Tour-de-France’ প্রতিযোগিতার আদলে এ আয়োজন তরুণ প্রজন্মকে এডভেনচারধর্মী কার্যক্রমে উৎসাহিত করবে বলে আমি মনে করি।
পার্বত্য অঞ্চল দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে একটি অনন্য সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। বিশেষ করে এখানকার ভূ-প্রকৃতি পর্বতারোহণ, ট্র্যাকিং, হাইকিং, বাঞ্জি জাম্পিং, মাউন্টেন বাইকিং, র্যাফটিং, কায়াকিং, জিপ-লাইনিং, প্যারাগ্লাইডিংসহ বিভিন্ন এডভেনচারধর্মী আয়োজনের জন্য উপযুক্ত। ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুর-ডি সিএইচটি মাউন্টেন বাইক প্রতিযোগিতা’ সাজেক, রাঙ্গামাটি হতে শুরু হয়ে রাঙ্গামাটি সদর, বান্দরবান সদর হয়ে ৩০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বান্দরবানের থানচিতে শেষ হবে। ১০০ জন মাউন্টেন বাইকার এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। আমি আশা করি, এ আয়োজন পার্বত্য অঞ্চলের বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতি ও নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেশ-বিদেশের এডভেনচারপ্রিয় তরুণদের আকর্ষণের পাশাপাশি এ অঞ্চলে টেকসই পর্যটনের প্রচার ও প্রসারে নতুন মাত্রা সংযোজন করবে।
দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের পাশাপাশি পাহাড় ও সমতলের অধিবাসীদের পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন সুদৃঢ় করতে নিয়মিত মাউন্টেন বাইক প্রতিযোগিতার মতো আয়োজন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। আমি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বাইকারদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি আশা করি, এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম রোমাঞ্চকর কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে উৎসাহী হবে এবং দেশের বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভে সক্ষম হবে।
আমি বঙ্গবন্ধু ট্যুর-ডি সিএইচটি মাউন্টেন বাইক প্রতিযোগিতার সার্বিক সফলতা কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”