[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষা ছাড়া একটি দেশ কখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। সে উপলব্ধি থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কী হবে-সেজন্য বিখ্যাত বিজ্ঞানী ড. কুদরত ই খুদাকে দিয়ে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন এবং এই শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট সরকারের কাছে দেয়া হয়েছিল, কিন্তু সেটা আর বাস্তবায়ন হয় নাই। কারণ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ড একজন ব্যক্তি কিংবা একটি পারিবারিক হত্যাকাণ্ড নয়। এই হত্যাকাণ্ড একটি দেশকে হত্যা করার সুগভীর ষড়যন্ত্র ছিল।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দিনাজপুরের বিরলের রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কানাইবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভিতবিশিষ্ট ১ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মুক্তিযদ্ধ ছিল আমাদের গর্ব ও অহংকারের। এই মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করেছি। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং বাংলাদেশ একটি সোনার বাংলা হবে, বিশ্ব ভূখন্ডে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, এটাইতো ছিল আমাদের স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে আমরা দেখলাম একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যারা গণহত্যা সংঘটিত করেছে, মা-বোনের ইজ্জত লুন্ঠন করেছে, তাদের বিচারের জন্য যে দালাল আইন করা হয়েছিল সেই দালাল আইন বাতিল করে দেয়া হলো এবং ঐ দালালদেরকে ও অপরাধীদেরকে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করা হলো। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের বিচার করা যাবে না সংবিধানের মধ্যে ইনডেমনিটি এ্যাক্ট ঢুকিয়ে দেয়া হলো। এর মধ্য দিয়ে একটি গর্বিত জাতির গর্বিত যে ইতিহাস সেই ইতিহাসকে ভূলণ্ঠিত করা হলো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, ‘রাজনীতি আমি জটিল করে দিবো, রাজনীতিবিদদের জন্য’। রাজনীতি যদি জটিল হয়ে যায়, কেমন হয়? এইরকম একটি জটিল অবস্থা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে তৈরি করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশে একটি জটিল অবস্থা তৈরি করতে কিছু মুক্তিযোদ্ধা, কিছু রাজাকার, কিছু খুনি, কিছু বামপন্থী, কিছু ডানপন্থী, নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করলেন। তাদের কাজই হলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দেয়া। এই ধারাবাহিকতা একুশ বছর যাবৎ বজায় রয়েছে। এই ধারাবাহিকতার মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুদ্ধ করেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী এ এস এম শাহিনুর ইসলাম।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী ৪ নং শহরগ্রাম ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে স্বর্গীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল চন্দ্র রায়ের বিদেহী আত্মার সৎ গতি ও শান্তি কামনার্থে আদ্যশ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং পরে উপজলা পরিষদ চত্বরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক স্থানীয় কৃষকদের মাঝে কম্বাইন হারভেস্টর বিতরণ, বিরল মডেল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) এর চূড়ান্ত খেলার পুরস্কার বিতরণ এবং শ্রী শ্রী কান্তজিউ মন্দিরে মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।