[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সামগ্রিক জীবনটাই হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাস। তিনি বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের মহানায়ক। ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একটি জাতিকে দূরদর্শিতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন তিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি শোষিত মানুষের পক্ষে ছিলেন। এরকম একজন মানুষকে তুলনা করার জন্য পৃথিবীতে আর একজন রাজনীতিককে খুঁজে পাওয়া যাবেনা বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে অনলাইনে বাংলাদেশ পোস্ট অফিস কর্মচারি ইউনিয়ন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সালে বাংলা ভাষার দাবি, ৪৮ সালে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা এবং ৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু দূরদর্শিতার সাথে একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনা নিয়ে প্রতি ইঞ্চি মেপে মেপে পা ফেলেছেন। সে কারণে আজকে বঙ্গবন্ধুকে যখন স্মরণ করি তখন ভাবতে হবে বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শ নিয়ে আলোচনা খুবই জরুরী। ষাটের দশকের রাজপথের লড়াকু সৈনিক মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু ৪৭ সাল থেকেই বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শুরু করেছিলেন । ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবকে পাশ কাটিয়ে দুটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা বঙ্গবন্ধু মেনে নেননি। ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত জনগণকে সংগঠিত করে স্বাধীনতার লড়াই করেছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যন্যের মধ্যে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ডাক অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় সার্কেলের পোস্ট মাস্টার জেনারেল মো: সিরাজ উদ্দিন, বাংলাদেশ পোস্ট অফিস কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি মুসলেম উদ্দিন হাওলাদার এবং মহাসম্পাদক মো: খলিলুর রহমান বক্তৃতা করেন।