‘বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শনকে আত্মস্থ করাই হবে তাঁকে স্মরণের শ্রেষ্ঠ দিক’

বুধবার, জানুয়ারি ১৫, ২০২০,৬:৩২ পূর্বাহ্ণ
0
47

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

বঙ্গবন্ধু শততম জন্মবার্ষিকী ও মুজিব বর্ষ উদযান পরিষদের প্রস্তুতি সভায় প্রফেসর ড.ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ইতিহাসের রাখাল রাজা হিসেবে অভিহিত করে আন্তর্জাতিক সমাজ বিজ্ঞাণী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শনকে আত্মস্থ করাই হবে তাঁকে স্মরণের শ্রেষ্ঠ দিক।

তিনি বলেন, এ জনপদের ৩ হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালি বার বার ভিনদেশি শাসক ও শোষকগোষ্ঠীর হাতে শোষণের শিকার হয়েছে। এ কালো অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধুই বাঙালিকে প্রথম স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের আগে বাঙালি কখনো স্বাধীন ছিল না। নবাব সিরাজুদ্দৌলাকে বাংলার শেষ নবাব বলা হলেও তিনি বাঙালি ছিলেন না। তার মাতৃভাষা ছিল পশ্চাত। পাল, সেন, গুপ্ত বংশের রাজারাও বাঙালি ছিলেন না। তারা বাঙালিকে নানাভাবে অবদমিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুই প্রথম বাঙালি, তার নেতৃত্বেই আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। স্বাধীনতা অর্জন করেছি।

গতকাল মঙ্গলবার ১৪ই জানুয়ারি বিকেলে নগরীর আগ্রাবাদস্থ বিদ্যুৎভবনে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উদযাপন পরিষদ,চট্টগ্রাম আয়োজিত বছরব্যাপী মুজিববর্ষ পালন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানসূচীর প্রস্তুতি সভায় সভাপতির ভাষনে তিনি এসব কথা বলেন। ড.ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী আরো বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে তারা মানব সভ্যতার ইতিহাসকেই অস্বীকার করে।

আজ প্রমাণিত হয়েছে যারা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিতে চেয়েছিল, তাদের নামই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। প্রস্তুতি সভায় মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চট্টগ্রাম মহানগরের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে শুধু একটি স্বাধীন রাষ্ট্রই উপহার দেননি, তিনি সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশবাদ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মানবিক সত্তাকে জাগ্রত করার প্রণোদনা দিয়ে গেছেন। তাই তিনি মানব থেকে মহামানবে পরিণত হয়ে হিমালয় সম উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। এই উচ্চতা থেকেই তিনি মানবসমাজের কল্যাণ, মুক্তি ও প্রগতির আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। স্বাগত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শততম জন্মবার্ষিকী মুজিববর্ষ উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সহ সভাপতি প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জোর দিয়েছেন ’চরিত্র’ পরিবর্তনের উপর । কী অবাক করা বচন ! প্রথাগত রাজনীতিবিদ বা দেশ শাসক যেমন স্লোগান মুখর থাকতে পছন্দ করেন তেমন দেশ শাসক নন বঙ্গবন্ধু; তিনি দেশ নায়ক। যে দেশন ায়ক বাঙালিকে স্বপ্ন দেখান, পথ দেখান। তবে তিনি শুধু দেশনায়কও নন, বাঙালির শিক্ষকও বটেন! আজকাল রজনীতিবিদদের মুখে ‘মানব-চরিত্র’ কথাটি শোই যায় না।

বঙ্গবন্ধু শিক্ষকের মতো জোর দে ‘চরিত্র’ গড়ার ওপর। বঙ্গবন্ধু সাংষ্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলার সাধারন সম্পাদক মো. খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় বঙ্গবন্ধু শততম জন্মবার্ষিকী ও মুজিব বর্ষ উদযান পরিষদের প্রস্তুতি সভায় আরে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংষদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ সর্দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস হাফিজ খান রুমু(সিএনসি স্পেশাল), নগর আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য শেখ মাহমুদ ইসহাক, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, চসিক কাউন্সিলর আলহাজ্ব এইচ এম সোহেল, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, বাংলাদেশ আওয়ামী মহিলা যুবলীগ চট্টগ্রাম মহানগরের আহবায়ক সায়রা বানু রশ্নি, সংগঠক শওত আলী সেলিম, প্রকৌশলী মুকবুল হোসেন, প্রকৌশলী শামসুল আলম, প্রকৌশলী খোরশেদ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে