বগুড়া ১২টি পৌরসভায় তালা ঝুলছে

মঙ্গলবার, জুলাই ১৬, ২০১৯,১১:০৯ পূর্বাহ্ণ
0
68

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

বগুড়া পৌরসভাসহ জেলার ১২টি পৌরসভার কার্যক্রম  বন্ধ রয়েছে গত তিনদিন ধরে। এতে কোনো সেবা পাচ্ছেন না পৌরসভার নাগরিকরা । 

পৌরসভাগুলোতে এখন তালা ঝুলছে। সেবা গ্রহীতারা এসে ফিরে যাচ্ছেন। পৌরবাসীর অভিযোগ, দিনের পর দিন আন্দোলনের নামে পৌরসভা বন্ধ করে রেখে পৌরসভার বাসিন্দাদের  ঠেলে দেওয়া হয়েছে দুর্ভোগের দিকে। 

সরকারী কোষাগার থেকে বেতনভাতাসহ অন্যান্য দাবিতে পৌরসভা কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঢাকায় একটানা অবস্থান কর্মসূচির কারণে বগুড়ার ১২টি পৌরসভায় তালা দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় বগুড়া পৌরসভা ভবনে গিয়ে সব অফিসে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। প্রধান গেট খুললেও সেখানে কোন সেবাদানকারী কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের প্রতিটি কক্ষে তালা দেখা গেছে। সবাই ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

জানা যায়, বগুড়া পৌরসভার রয়েছে ২১টি ওয়ার্ড। বগুড়া পৌরসভা প্রায় ৭০ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৬ লাখ। গত অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ৬৫ লাখ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বরাদ্দ ৭৭ লাখ। দেশের কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের চেয়ে আয়তনে এবং জনসংখ্যায় বড় বগুড়া পৌরসভা। ‘ক’ শ্রেণীর এই পৌরসভাটি কার্পেটিং রাস্তা আছে ২২৯ কিলোমিটার। এছাড়া কাঁচা সড়ক, সিসি, আরসিসি, সেলিংসহ অন্যান্য রাস্তা রয়েছে আরো প্রায় ৬’শ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে প্রায় ৯’শ কিলোমিটারের রাস্তা আছে। 

পৌরকর্মকর্তা ও কর্মচারিরা আন্দোলনে থাকার কারণে এই রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। ময়লা আবর্জনা পড়ে আছে। বৃষ্টির কারণে ড্রেনেজ পুরে গেছে। চাকরি, জমির খাজনা, লাইসেন্স, টীকাদান, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, সন্তানের জন্ম সনদসহ বিভিন্ন সনদ এবং পৌরসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে বগুড়ার ১২টি পৌরসভার নাগরিক। 

শুধুমাত্র পানি সরবরাহ করছে পৌরসভার নৈশ প্রহরীরা। গত রবিবার থেকে রাতে শহরের সড়কবাতিও বেশীরভাগ স্থানে বন্ধ রয়েছে।  

বগুড়া পৌর সভার গেটম্যান আবুুুল হোসেন জানান, কোন কর্মচারী পৌরসভায় আসেন না। সবাই ঢাকায় গেছেন বিভিন্ন দাবি আদায়ের জন্য। তিনি বলেন, কাজ করার মত কোন লোক নেই। দিনে কম করে হলেও ৩ থেকে ৪শ’ লোক আসছে মৌর মেয়র ও কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তাদের খোঁজে। 

পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মামুনুর রশিদ জানান, দাবি আদায়ে আমরা সরকারকে আগেই জানিয়েছে। কিন্তু কোন কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা বাধ্য হয়ে ঢাকায় অবস্থান নিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। 

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে