[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী একযোগে ৭৫ লাখ লোককে কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিনব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ইউনিয়ন, ওয়ার্ড থেকে শুরু করে সিটি কর্পোরেশন ও শহর এলাকা জুড়ে এই কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে সরকারি, বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবীসহ প্রায় ৮০ হাজার লোক অংশ নিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে মন্ত্রণালয়ের সাথে যুক্ত সকল সংগঠনকে আনুমানিক ৭৫ লাখ ব্যক্তির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এই টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে তৎপর থেকে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখার নির্দেশনা দেন।
এদিকে কর্মসূচির কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে ধানমন্ডি ৮/এ, ডিঙি রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
পরিদর্শনকালে মুখ্যসচিব বলেন, সারাদেশে একযোগে টিকাদান কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পালিত হচ্ছে। দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। এই কর্মসূচি আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য সারাদেশের সাথে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালেও এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
এর আগে কর্মসূচিটি উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, এদিন সারাদেশের সকল সিটি কর্পরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়নে দিনব্যাপী এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে যা শুরু হবে সকাল ৯টা থেকে; এই ক্যাম্পেইনে শুধুমাত্র ১ম ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে; পরবর্তী মাসে একইভাবে ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে ২য় ডোজ প্রদান করা হবে; ক্যাম্পেইনের আগে রেজিস্ট্রেশনকৃত ২৫ বছর বয়োষোর্ধ্ব নাগরিকদের এসএমএস প্রদানের মাধ্যমে অবহিত করে কেন্দ্রে ডাকা হবে; ক্যাম্পেইন শুরুর প্রথম ২ ঘণ্টা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাষোর্ধ্ব বয়স্ক নাগরিক, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে; ভ্যাকসিন নেবার জন্য এনআইডি কার্ড ও টিকা কার্ড সাথে আনতে হবে; ক্যাম্পেইনে গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারীদের টিকা প্রদান করা হবে না।
যেসব কেন্দ্রে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি সেসব কেন্দ্রে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত টিকাদান চলমান ছিল।