প্রতিশ্রুতি নয়, প্রতিকার চাই

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ৩০, ২০২০,১:০৮ অপরাহ্ণ
0
101

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

শাহরিয়ার আহমেদ

সাধারণ জনগণ এমন নগরপিতা ও কাউন্সিলরদের চান যারা সত্যিই তাদের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন। আলাদিনের দৈত্যের মত নিমিষেই সকল অসুবিধা ও অসম্পূর্ণতা দূর করে দিবেন।


ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র ১ দিন বাকি। শেষ সময়ের প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীগণ। এরই মধ্যে নির্বাচনী আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে সমস্ত ঢাকা জুড়ে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই ঢাকাবাসীর উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যে আগামী ৫ বছরের জন্য চুড়ান্ত করা হবে ২ জন মেয়র, ১২৯ জন কাউন্সিলর ও ৪৩ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরদের। জনগণের বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাউন্সিলর প্রার্থীগণ নানান রকম আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। সেই সাথে ঢাকাকে আধুনিক ও সয়ংসম্পূর্ণ করার অঙ্গীকার ও ইশতেহার ঘোষণা করেছেন মেয়র প্রার্থীগণ।

তবে সাধারণ জনগণ এমন নগরপিতা ও কাউন্সিলরদের চান যারা সত্যিই তাদের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন। আলাদিনের দৈত্যের মত নিমিষেই সকল অসুবিধা ও অসম্পূর্ণতা দূর করে দিবেন। শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, প্রতিকার চান ঢাকাবাসী। নির্বাচনকে ঘিরে জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজমান। আগামীর সম্ভবনার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে এমন একটি ঢাকা হিসেবে দেখতে চায় জনগণ যেখানে সকল আধুনিক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে। নগর বাসিন্দারা কমিউনিটি সেবা, নাগরিক নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় যথাযথ সুযোগ সুবিধা প্রাপ্ত হবে সবসময়।
সাধারন জনগণসহ দেশের পরিকল্পনাবিদ ও বিশিষ্টজনেরা মনে করেন, একটি দেশের বা একটি রাষ্ট্রের রাজধানী এমন ধারায় প্রতিষ্ঠিত ও গঠিত হতে হবে যেখানে অন্যান্য দেশের রাজধানীর সাথে তুলনা করা যায় ঢাকাকে। চাওয়া মাত্রই যেন সকল নাগরিক সুবিধা প্রাপ্ত হয় রাজধানী বাসিন্দারা। যেন ডেঙ্গুর কারণে প্রাণ হারাতে না হয়, বিশুদ্ধ পানির সংকট পোহাতে না হয়, কমিউনিটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে না হয় নগরবাসীদের। নগরপিতা যারা হবে তাদেরকে এমনসব কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে যাতে করে নগরের প্রত্যেকটি পর্যায়ে সর্বোচ্চ উন্নয়ন তরান্বিত হয়।

নগরপিতা হোক যে কোনো দল বা মতের তাদের মূল উদ্দেশ্য থাকতে হবে নগরের উন্নয়নের জন্য সর্বস্ব দিয়ে কাজ করা। নির্বাচনের আগেই কেবল জনগণের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নয়, নির্বাচনের পরেও যেন জনগণের কাছে গিয়ে তাদের সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে এমনটাই সাধারণ মানুষের চাওয়া। অতীতেও বিভিন্ন সময়ে অনেক নগরপিতা জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু প্রাপ্তি নিয়ে হতাশ নগরবাসী। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নগরবাসীরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমী নগরপিতার মাধ্যমেই তা অর্জিত হতে পারে। যা এই নির্বাচনে প্রত্যক্ষমান। কেবল জয়যুক্ত হওয়ার জন্যই প্রতিশ্রুতি প্রদান নয়, সত্যিকার অর্থেই জনগণের উদ্দেশ্যে কাজ করুক, দেশের মঙ্গলে কাজ করুক এমনটি চায় সকল মহল।

অনেক হয়েছে নিজেদের স্বার্থ-উদ্বার ও স্বার্থরক্ষা করা। এবার সত্যিই ভাবার সময় এসেছে দেশকে নিয়ে। একটু একটু করে সম্বৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের সম্বৃদ্ধির পথকে আরও গতিশীল করতে প্রয়োজন প্রকৃত দেশপ্রেমী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দক্ষ নেতৃত্বের ব্যক্তিত্বকে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে মেয়র ও কাউন্সিলরগণ কাজ করবেন জনগণেরই মঙ্গলে। কাজেই জনগণের উপর এই দায়িত্ব বর্তায় যোগ্য, দক্ষ, সৎ ও দেশপ্রেমী ব্যক্তিত্বকে বাছাই করে নেয়ার। সেই সাথে আমদের সকলের প্রত্যাশা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রকৃত দেশপ্রেমী ব্যক্তিত্বের নির্দেশনায় ঢাকা ফিরে পাক তার গৌরবময় ঐতিহ্য এবং নগর পাক একজন আদর্শ নগরপিতা।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, মানব সংবাদ।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে