[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য প্রচলিত কাগজের বইসমূহ ডিজিটাল কন্টেন্টে রূপান্তর এবং শিক্ষকদের ডিজিটাল যোগ্যতা অর্জন অপরিহার্য। ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের বিকল্প নেই। কাজেই ছেলে-মেয়েদের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দিতে হবে এবং তাকে নিরাপদও রাখতে হবে। এটাই হচ্ছে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের বাস্তবতা।
মন্ত্রী গতকাল ওয়েবিনারে জালালাবাদ কলেজ, সিলেট এর স্মার্ট ক্যাম্পাস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। দেশের মোট জনগোষ্ঠীর শতকরা ৬৫ ভাগের বয়স ৩৫ বছরের নীচে এবং তারা খুবই মেধাবী। তিনি বলেন, ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আলোকিত এক বাংলাদেশ আমি দেখতে পাচ্ছি। নব্বইয়ের দশকে তিনি গাজীপুরে প্রথম ডিজিটাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়ে যে যাত্রাটি শুরু করেছিলেন, করোনাকালে সেটি আজ সার্বজনীন বাস্তবতায় রূপ নিয়েছে উল্লেখ করে বলেন, করোনা পরবর্তী পৃথিবী করোনার আগের সময়ে ফিরানো যাবে না।
ডিজিটাল কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় গত এগারো বছরে বাংলাদেশ এক অনন্য উচ্চতায় উপনীত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সরবরাহ ও কিস্তিতে ডিজিটাল ডিভাইস প্রদানের বিষয়টি নিয়ে সরকার কাজ করছে।
করোনাকালে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত না হয় সেজন্য প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে বিনা মূল্যে কনটেন্ট দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ডিজিটাল যুগের পেশার জন্য ডিজিটাল শিক্ষা দরকার।
অনুষ্ঠানে কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এক এম বদরুদ্দোজা, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শহিদুল মনির, সমিতির সিলেট জোনের চেয়ারম্যান এনামুল কুদ্দুস চৌধুরী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. নজরুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক চৌধুরী মোকাম্মেল ওয়াহেদ, শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
বক্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ফলে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে ক্লাস করতে পারছে। তারা শিক্ষার্থীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট সরবরাহ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৪জি মোবইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।