[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
আজ (মঙ্গলবার) পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবস। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ১১ বছর আগে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ও একজন সৈনিক ছাড়াও বেশ কয়েকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন পিলখানায় তখনকার বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবি তাঁদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে যাচ্ছে আজ এবং আগামীকাল।
গতকাল সোমবার বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি তত্কালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তর, পিলখানায় সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্মরণে ২৫ ফেব্রুয়ারি (আজ) শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হয়। দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরসহ সব রিজিয়ন, সেক্টর, প্রতিষ্ঠান ও ইউনিটে খতমে কোরআন, বিজিবির সব মসজিদে এবং বিওপি পর্যায়ে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ ছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) যেসব স্থানে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন হয় সেসব স্থানে বিজিবি পতাকা অর্ধনিমিত থাকবে এবং বিজিবির সব সদস্য কালো ব্যাজ ধারণ করবেন দিবসটি পালন উপলক্ষে।
২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে বাদ আসর। প্রধান অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে। এ ছাড়া অংশগ্রহণ করবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক, শহীদদের নিকটাত্মীয়, পিলখানায় কর্মরত সব অফিসার, জুনিয়র কর্মকর্তা, সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মচারীরা।