[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
‘অবশেষে পাটকল রক্ষার সকল যুক্তিতর্ক, প্রস্তাবনা ও শ্রমিকদের দাবীকে উপেক্ষা করে আজ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ব সকল পাটকল বন্ধ করলো সরকার। যা জাতীয় জীবনে দুঃখ ,হতাশা ও মর্মবেদনার কারণ হয়ে থাকলো।’
পাটকল বন্ধ করার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চুড়ান্ত ঘোষনার প্রেক্ষিতে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরূল আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন আজ এক প্রতিক্রীয়া বার্তায় বলেন, এই সিদ্ধান্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ঘোষনার কফিনে আরেকটি পেরেক মারা হলো।
তারা বলেন,বাংলাদেশের অভ্যুদয়, সংগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পাটচাষ, পাটশিল্প এবং পাটজাত দ্রব্য ওতপ্রোতভাবে যুক্ত।১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ছয়দফা ও স্বায়ত্বশাসন আন্দোলনকে পাট কেন্দ্রীক এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক বৈষম্য হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু পাটকল গুলোকে জনগণের মালিকানায় নিয়ে ১৯৭২ সালের ১৬ মার্চ রাষ্ট্রপতি আদেশ নং-২৭ এর মাধ্যমে জাতীয়করণ করেছিলেন। এ আদেশে পাটকল পরিচালনার জন্য বিজেএমসি গঠিত হয়েছিল; লক্ষ্য ছিল পাট ও পাটশিল্পের বিকাশ।
‘৭৫ পরবর্তী সামরিক সরকার গুলোর সীমাহীন অবহেলা আর ঔদাসিন্যে পাট খাত পিছিয়ে পড়ে। ১০০% শতাংশ মূল্য সংযোজনের সম্ভাবনা ছিল পাট খাতে, যা কাজে লাগানো যায়নি। পুরো পাটের অর্থনীতিকে সাম্রাজ্যবাদী দাতা গোষ্টি, বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফের কু পরামর্শে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা আহোরণের পূর্বে প্রদত্ত রাজনৈতিক ঘোষনায় পাটকল রক্ষার কথা বলেছিলেন। সেই অনুযায়ী কিছু পদক্ষেপও নিয়েছিলেন।এখনবিশ্ব ব্যাংকের তাবেদার আমলাদের কু-পরামর্শে ও লুটেরা পুজিঁপতিদের স্বার্থের কাছে পরাস্ত হয়ে পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন যা আত্মঘাতী।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘পিপিপি’ প্রক্রিয়ায় পাটকল চালুর যে কথা এখন বলা হচ্ছে, তা শিশু ভোলানোর গল্প মাত্র। বস্তুত রাষ্ট্রায়ত্ব খাতের এই শিল্পের বিপুল (জনগনের)সম্পদ ব্যাক্তি মালিকানায়তুলে দেয়ার বন্দোবস্ত মাত্র। আমরা এর তীব্রপ্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।