[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও বাংলাদেশ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষা, সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এসকল ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সকল উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ। মন্ত্রী বলেন, ২০২০ সাল পরবর্তী বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্য ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়নের জন্য কমপক্ষে ৮ শত বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করা প্রয়োজন। আর এ বরাদ্দের ৫০ শতাংশ উন্নয়নশীল দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বরাদ্দ করা প্রয়োজন।
আজ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত কনভেনশন অন বায়োলজিকাল ডাইভার্সিটি, জীববৈচিত্র্য প্রটোকল এবং নাগোয়া প্রটোকলে স্বাক্ষর করেছে। এলক্ষ্যে সরকার ২০১৭ সালে জীববৈচিত্র্য আইন এবং জাতীয় জীববৈচিত্র্য কর্মকৌশল ও কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২১ প্রণয়ন করেছে।
পরিবেশমন্ত্রী আরো বলেন, ৪৮টি সংরক্ষিত এলাকা এবং ১৩টি প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকাসহ দেশের ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ এলাকা প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, ৪টি সমুদ্র এলাকাসহ মোট সমুদ্র এলাকার ৬ দশমিক ২০ শতাংশ এলাকাকে মেরিন প্রটেক্টেড এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের অর্থায়ন দ্বিগুণ করবে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রযুক্তি হস্তান্তর, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ক্লিন এনার্জি, জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমণমূলক কর্মকাণ্ড প্রভৃতি ক্ষেত্রে ইইউর সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব মোঃ মনিরুজ্জামান এবং অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।