[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
অবশেষে শতভাগ শেষ হলো পদ্মা সেতুর নকশা জটিলতায় আলোচিত সেই ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের কাজ। সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জটিল ছিল এ দুটি পিলার। ৪ বছর আগে এ দুটি পিলারে জটিলতা দেখা দেয়ায় শেষ পর্যন্ত পদ্মা সেতু হবে কিনা, তা নিয়েই দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। বিশ্বে এর আগে কোথাও হয়নি, এমন একটি পদ্ধতিতে এ দুটি পিলারের জটিলতা কাটিয়ে চলতি মাসে শতভাগ কাজ শেষ করতে পারাকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
৪ বছর আগে আনুষ্ঠানিক শুরু পদ্মা সেতুর পিলার বসানো। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর প্রথমবারের মতো কাজ ধরা হয় ৬ নম্বর পিলারে। তখনই জানা যায়, যে নকশায় সেতু হওয়ার কথা, কয়েকটি পিলারের ক্ষেত্রে সেটা কাজে দেবে না। মূলত একটি পিলারে ৬টি করে পাইল এবং প্রতি পাইলে ১২৪ মিটার দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু পাইল মাটিতে প্রবেশ করানোর পর নদীর এ স্থানে কোনোভাবেই শক্ত মাটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর একে একে এ জটিলতা দেখা দেয় আরও ১৪টি পিলারে। এ অবস্থায় পুরো সেতুর কাজ নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা।
পরে প্রায় দেড় বছর সময় লাগে সমাধান পেতে। দৈর্ঘ্য না বাড়িয়ে পাইলের সংখ্যা ৬টির জায়গায় ৭টি করে বসানোর সিদ্ধান্ত আসে। ৭ মাস আগে নতুন নকশায় কাজও শুরু হয়। তবে সবার দৃষ্টি ছিল বহুল আলোচিত ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের দিকে। কারণ এখানে নদীর তলদেশের মাটি সবচেয়ে বেশি রহস্যময়। স্টিলের পাইলে ট্যাম প্রযুক্তি সংযোজন করে, বিশ্বে আর কোথাও হয়নি-এমন একটি প্রযুক্তিতে এ দুটি পিলারের পুরো কাজ শেষ করা হয়।
পদ্মা সেতুর প্রথম দুটি পিলার হওয়ার কথা ছিল ৬ ও ৭ নম্বর। এ দুটি পিলারের নির্ধারিত স্প্যান অনেক আগেই তৈরি করে ফেলায় এতদিন সেটি ৩ ও ৪ নম্বর পিলারের ওপর অস্থায়ীভাবে রাখা আছে। এখন ৬ ও ৭ নম্বর পিলার তৈরি হয়ে যাওয়ায় শিগগিরই এ স্প্যানটি সরিয়ে আনা হবে নির্ধারিত পিলারে।