[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
পড়াশোনার জন্য চাপ দেওয়ায় মাদকাসক্ত নাতি মো. ফাহিম (১৫) ক্ষুব্ধ হয়ে নানি জয়নব বিবিকে (৭০) শাবল দিয়ে হত্যা করে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। এ সময় স্কুলশিক্ষক মামা দেলোয়ার হোসেন মালেকও ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত করা হয়। করিমগঞ্জের মনসন্তোষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তিনি। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট শওকত হোসেনের ছেলে ফাহিম। সে শহরের আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয়রা বলছে, পড়াশোনার জন্য শাসন করায় ছেলেটি তার নানিকে হত্যা করে মামাকেও মেরে ফেলতে চেয়েছিল। জানা গেছে, করিমগঞ্জের গুজাদিয়া বড়কান্দা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের স্ত্রী জয়নব জান বিবি। তিনি কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া পুরাতন ফায়ার ব্রিগেড গলিতে তাঁর জামাতা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট শওকত হোসেনের বাসায় নাতি ফাহিমকে নিয়ে থাকতেন। আর জামাতা শওকত হোসেন ময়মনসিংহে বাস করেন স্ত্রী ও বড় ছেলেকে নিয়ে। নানি তাঁর নাতিকে পড়াশোনার জন্য খুব চাপ দিতেন এবং রাগারাগি করতেন। তার বখাটেপনার কথা মা-বাবাকে বলে দেওয়ার হুমকিও দিতেন। এসব কারণে নানির প্রতি ফাহিমের ক্ষোভ ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার সকালে ফাহিম তার নানি জয়নব বিবিকে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে লাশ বাসার খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে সে। কিছুক্ষণ পর জয়নব বিবির ছেলে স্কুল শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন মালেক নিজের বাসা থেকে বোনের বাসায় গিয়ে মায়ের খবর নিতে গেটে কড়া নাড়লে গেট খুলেই মামার পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয় সে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ঘটনার পরই অসংলগ্ন কথাবার্তা বলায় সন্দেহবশত ফাহিমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে পুলিশের জেরার মুখে সব স্বীকার করে ফাহিম।