[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সকল অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের উপযোগী একটি ব্রডব্যান্ড নীতিমালা করা সময়ের দাবি। ফাইভ-জি প্রযুক্তির আলোকে ব্রডব্যান্ড এমবিপিএস নয় তা জিবিপিএস-এ রূপান্তর করা অপরিহার্য বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি ২০৪১ সালকে সামনে রেখে ডিজিটাল প্রযুক্তির সম্ভাব্য পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও জনগণের চাহিদা উপযোগী একটি ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিটিআরসি আয়োজিত ব্রডব্যান্ড আইসিটি অবকাঠামো, সেবা ও সংযুক্তি বিষয়ক ‘বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২২’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ খলিলুর রহমান, এলায়েন্স ফর এফোর্ডেবল ইন্টারনেটের এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রধান আনজু মঙ্গল, এটুআই এর পলিসি এডভাইজার আনির চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লতিফা জামাল প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ।
মন্ত্রী বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালে অনলাইন ইন্টারনেট ও ২০১৩ সালে থ্রিজি প্রযুক্তি চালু হওয়ার পর এখন মোবাইল ইন্টারনেটের যুগে প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ফাইভ-জির মাধ্যমে সরকার যে ডিজিটাল মহাসড়ক নির্মাণ করছে তা হবে ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার অন্যতম প্রধান শক্তি। তিনি ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, ২০০৮ সালে দেশে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের মূল্য ছিলো ২৭ হাজার টাকা যা বর্তমানে মাত্র ৬০ টাকায় পাওয়া যায়। তিনি মোবাইল ইন্টারনেট
প্যাকেজের অসামঞ্জস্যতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজের সীমা নির্ধারিত থাকা উচিৎ নয়। তিনি নিয়ম-নীতির আলোকে জনগণের সন্তুষ্টির দিকে খেয়াল রেখে প্যাকেজ নির্ধারণে সংশ্লিষ্টদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান।