[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরূল আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জে সজীবগ্রুপের হাশেম ফুড এন্ড বেভারেজ লিঃ এর সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকান্ডে এ পর্যন্ত ৫২জন শ্রমিকের প্রানহানী ও অর্ধশতাধিক শ্রমিকের আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক, ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেনে।তারা বলেন, কারখানায় অগ্নিকান্ডে শত শত শ্রমিকের হতাহতের ঘটনা কোন ভাবে মেনে নেয়া যায় না। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা বলেন, করোনা মহামারির কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে সরকার শিল্পকারখানার চালু রাখতে শ্রমিকদের বিধিনিষেধের আওতায় বহির্ভুত রেখে মালিকদের শ্রমিকের কাজে যোগদানে তাদের যাতায়তে পরিবহন ও স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিপত্র জারি করেছিল। কিন্তু মালিকেরা এই ঘোষনা অনুসরণ করেনি। সেজান জুস কারখানার অগ্নিকান্ড তারই জলন্ত উদাহরণ। নিরাপদকর্মপরিবেশ শ্রমিকের মৌলিক অধিকার। প্রতিষ্ঠানের মালিককেই তা নিশ্চিত করা আইনের বাধ্যবাধকতা। অবস্থাদৃষ্টে প্রতিয়মান সজীবগ্রুপের হাশেম ফুড এন্ড বেভারেজ লিঃ এর সেজান জুস কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকের নিরাপদ কর্মপরিবেশ রক্ষায় উদাসিন ছিলেন। তাই দুর্ঘটনায় নিপতিত করেশ্রমিককে লাশ বানানো ও আহত করার দায় তাদেরই নিতে হবে। বিবিৃতিতে নেতৃবৃন্দ, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, পরিপুর্ণ ও শোভন স্বাস্থ্যসেবার অধিকার; মৌলিক মানবিক অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান। বিবিৃতিতে তারা অগ্নিকান্ড দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের উপযুক্ত ও পরিপুর্ণ চিকিৎসা ও নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপুরণ প্রদানের আহবান জানান।