[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
করোনা ভাইরাস আতঙ্ক সৃষ্টি ও ব্যবহার করে বাংলাদেশে অসাধু ব্যবসায়ীদের চক্র বাজার সিন্ডিকেট করে ইতোমধ্যে দ্রব্যমূল্য নিয়ে যে কালোবাজারী এবং নিয়ন্ত্রণহীন মুনাফায় লিপ্ত হয়েছে অচিরেই তা খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সরবরাহের ক্ষেত্রে সংকট সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে বাজার থেকে অধিক পণ্য কেনাও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি পলিটব্যুরো এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে সরকার সম্বন্বিত সংকট মোকাবেলা করার সক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারছে না । সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তার মন্ত্রীদের অতিকথন পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটে করছে। বাস্তবতার সঙ্গে তাদের কথা কাজ মিলেছে না। করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় উপকরণ স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রদান করা হয়নি এমনকি নূন্যতম যে প্রশিক্ষণ লাগে সে ব্যবস্থাপনাও গড়ে তোলা যাচ্ছে না। চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রস্তুতির অভাবে নিজেরাই আতঙ্ক এবং মানসিক পীড়ায় আছেন। দিন আনা দিন খাওয়া শ্রমজীবি মানুষ ইতোমধ্যেই কর্ম হারিয়েছেন। “সরকার সব প্রস্তুতি আছে” বলে যে গোজাঁমিলে বক্তব্য দিচ্ছে তাতে পরিস্থিতির মোকাবেলা করা যাবে না। এভাবে চললে সব কিছুই নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে।
ওয়ার্কার্স পার্টি পলিটব্যুরো সুনিদিষ্টভাবেই মনে করে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া যেভাবে সংকট মোকাবেলা করেছে সেই পথে অত্যন্ত বলিষ্টতার সংগে সারাদেশ ১৫ দিনের জন্য লকডাউন করে জনগণের খাদ্য, চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা ও শ্রমজীবি দরিদ্র মানুষের প্রতিদিনের খাদ্য চাহিদার পরিপূরণের ব্যবস্থা করবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এভাবেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে এবং বর্তমান সরকারের সেই সক্ষমতাও আছে। এ ব্যাপারে কোন দ্বিধাদ্বন্দের অবকাশ নেই। জনগণ করোনা নিয়ন্ত্রনে সরকারের বলিষ্ঠ ভূমিকা কামনা করছে। জনগণের প্রতি ওয়ার্কার্স পার্টি আহবান জানিয়ে বলেছে, মহামারি পরিস্থিতি সৃষ্টির আগেই সকল অঞ্চলে করোনা নিয়ন্ত্রণের যে সকল নির্দেশাবলী ইতোমধ্যে ঘোষিত হয়েছে তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে। নিজেদের সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।