[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
৮ মার্চ’ আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৩ পালন উপলক্ষে প্রতিপাদ্য “জেন্ডার সমতায় তথ্য ও প্রযুক্তি” বিষয়ক কর্মসূচি গতকাল শনিবার বেলা ৩.৩০টায়।
ঢাকা মহানগর আন্দোলন উপ পরিষদের উদ্যোগে এবং শাজাহানপুর পাড়া শাখার আয়োজনে পাড়ার সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর কমিটির অন্যতম সদস্য সারা আলমের সভাপতিত্বে তার নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উদ্বোধনী সঙ্গীত দিয়ে সভার সূচনা করেন পাড়া শাখার শিল্পীবৃন্দ।
সভায় ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মাহাতাবুন নেসা উপস্থিত সবাইকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানান।এবং আজকের কর্মসূচির প্রতিপাদ্য বিষয়ের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন। নারীকে সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অংশীদার হতে আহবান জানান যাতে করে নারীর জীবনের সার্বিক উন্নতি ত্বরান্বিত হয়।
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং আন্দোলন উপ পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা পুরকায়স্থ তার বক্তব্যে বলেন, যেখানে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী সেখানে নারী পিছিয়ে পড়লে দেশ পিছিয়ে পড়বে। নারী শিক্ষিত না হলে প্রযুক্তিতে পিছিয়ে পড়বে নারীর উন্নয়ন ব্যহত হবে। নারীকে মানুষ হিসেবে তৈরি হতে নিজেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ১১ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর হামিদুল হক শামীম বর্তমানে নারীর অগ্রযাত্রায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারীদেরকে ১০জন সচিবসহ শীর্ষ নেতৃত্ব পর্যায়ে অধিষ্ঠিত করাতে প্রশংসা করেন। এবং এই অগ্রযাত্রায় নারী আন্দোলনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভূমিকা অনন্য সে বিষয়টি তুলে ধরেন।
ঢাকা মহানগর সহ সাধারণ সম্পাদক এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু ধর তার বক্তব্যে নারী দিবসের ঐতিহাসিক পটভূমি এবং নারী আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
নারী দিবসের বিষয়ভিত্তিক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন, ঢাকা মহানগর আন্দোলন সম্পাদক জুয়েলা জেবুননেসা খান। তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত নারীর অধিকার মানবাধিকার থেকে শুরু করে, আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ, csw, cedaw, ৪টি বিশ্ব নারী সম্মেলন, নারী নীতি, দেশের সংবিধানে সমান ও অভিন্ন অধিকার পেলেও সমাজের পুরুষতন্ত্রের বেড়াজাল থেকে নারীর জীবনের মুক্তি মিলছেনা। নানাভাবে, ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে নারী ও কন্যারা সহিংসতার শিকার হচ্ছে।নারীর জীবন অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। যদিও নারীরা অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট অবদান রাখছেন তবুও মূল্যায়ন বা স্বীকৃতি নেই।কিন্তু একবিংশ শতাব্দীর নতুন চ্যালেঞ্জ জাতিসংঘের ঘোষণা “ডিজিটাল প্রযুক্তির উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য নিরসন” এটি একটি যুগান্তকারী জেন্ডার নিরপেক্ষ মাইলফলক। এক্ষেত্রে এই প্রজন্মের নারীদের দ্রুত ধাবমান জগতের হালটি শক্ত হাতে ধরতে হবে। আর তাতেই সমতা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে জয়ী হতে পারবো। যদিও একইসাথে জাতিসংঘের ঘোষণায় বলা হয়েছে সমতাপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় আরও ৩০০ বছর লাগবে।
এছাড়া বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সমতাপূর্ণ, অসাম্প্রদায়িক, গনতান্ত্রিক, বিজ্ঞানভিত্তিক, মানবিক সমাজ গঠনের লড়াই, সংগ্রাম ও আন্দোলন আরও জোড়ালোভাবে করার আহবান জানান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পাড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য রোকশা আরা জেবিন।
সবশেষে সভাপতির বক্তব্যে সারা আলম উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীদের হাতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও সুবিধা উন্মুক্ত করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর লিগ্যাল এইড সম্পাদক শামীমা আফরোজ আইরিন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সঙ্ঘমিত্রা ভট্টাচার্য, সদস্য খালেদা ইয়াসমিন কনা এবং পাড়া শাখার বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং নেত্রীবৃন্দসহ মোট ৭০ জন উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। সঞ্চালনায় ছিলেন শহেদা আক্তার শাহীন এবং সাবরিনা সুলতানা সাফা শাজাহানপুর পাড়া।