[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা বলেছেন, ১৯৯৫ সালে বেইজিং ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক সরকারের যৌথ উদ্যোগে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০০০ সাল হতে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে আসছে।
এ প্রকল্পের সহযোগী হিসেবে ১১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তথা আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়; তথ্য মন্ত্রণালয়; সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়; শিক্ষা মন্ত্রণালয়; ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম প্রকল্পের উদ্যোগে অনলাইন প্ল্যাটফরম ‘উত্তরণ’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রশাসন ফরিদা পারভীন ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত Winnie Estrup Petersen.
ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা বলেন, প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি সংস্থাসমূহের সাথে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা কমানোর পাশাপশি সেবা কার্যক্রম জোরদার করা। এই প্রকল্পের আওতায় ১৩টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ৪৭টি জেলা সদর হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল, ঢাকায় ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি, ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার (ন্যাশনাল টোল ফ্রি হেল্পলাইন ১০৯), জয় মোবাইল অ্যাপস ও ন্যাশনাল সেন্টার অন জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্স প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের মনোসামাজিক কাউন্সেলিং প্রদানের জন্য কক্সবাজারের উখিয়ায় ১১টি রিজিওনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্পের মাধ্যমে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০৩০ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় ‘ডিএনএ ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান রয়েছে।