[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ভিজিডি কার্যক্রমের আওতায় ১০ লাখ ৪০ হাজার দুস্থ- অসহায় নারীকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে। শহর অঞ্চলে ২ লাখ ৭৫ হাজার কর্মজীবী দরিদ্র মাকে ল্যাকটেটিং মা ভাতা ও পল্লি অঞ্চলের ৭ লাখ ৭০ হাজার দরিদ্র মাকে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করছে। এছাড়াও সমাজের দুস্থ নারী ও শিশুদের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতিতে সামাজিক নিরাপত্তামূলক এসব কার্যক্রমের সুবিধাভোগীর সংখ্যা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা এবং নারী ও শিশুর উন্নয়নে চলমান সকল প্রকল্পের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটির পর সীমিত পরিসরে অফিসের প্রথম কার্যদিবসে মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি সভায় গতকাল এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন ও দপ্তর-সংস্থার প্রধানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অনেক বেশী। নারী ও শিশুসহ সমাজের অসহায় মানুষের সরকারের সাহায্য পৌঁছে দিতে হবে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও স্বামী পরিত্যক্ত ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার মাধ্যমে সরকার এক কোটি মানুষকে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করছে। একজন মানুষ ও যেন অনাহারে অধহারে না থাকে সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার এর সভাপতিত্বে এ জরুরী সভায় মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর / সংস্থার সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য দপ্তর/সংস্থার সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীর ০১ দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও চলমান প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থান এবং জরুরি প্রয়োজনে অফিসে উপস্থিত হয়ে দাপ্তরিক কার্যাদি সম্পাদন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।