[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারীর উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে জয়িতাদের চিহ্নিত করে তাদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বাল্যবিবাহ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে না পারলে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় পিছিয়ে পড়বে। বাল্যবিয়ে এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করতে বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিগুলোর কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাক্ষ থেকে অনলাইন ভার্চুয়াল মাধ্যমে “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” শীর্ষক খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, খুলনার রেঞ্জ ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিপিএম (বার) প্রমুখ।
সম্মাননা প্রাপ্ত নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন-অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটেগরিতে খুলনার নুরজাহান খানম, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী সাতক্ষীরার জেলার তালা উপজেলার প্রফেসর শামসুন নাহার, সফল জননী ক্যাটেগরিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা উপজেলার মোছাঃ জাহানারা পারভীন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা নড়াইল সদরের লাভলী ইয়াসমিন এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় খুলনার হালিমা ইসলাম। প্রতিমন্ত্রী খুলনা বিভাগের নির্বাচিত একজন জয়িতার হাতে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আরো উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারবৃন্দ।