[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক (যুগ্ম সচিব) বলেছেন, কর প্রদানের মাধ্যমে একজন নাগরিকের রাষ্ট্রীয় কাজে অংশীদারিত্ব নিশ্চিত হয়। যে সমস্ত নাগরিক সরাসরি কর প্রদান করেন তারা রাষ্ট্রের সুনাগরিক বলে গণ্য। সিটি কর্পোরেশন হল স্থানীয় সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। সিটি কর্পোরেশনের কাজের আবার শ্রেণিবিভাগ রয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন দেশের অন্য কর্পোরেশনের চেয়ে আরো কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন ও নাগরিকসেবা প্রদান করে থাকে। কিন্তু চসিকের রাজস্ব আয়ের চেয়ে উন্নয়ন ব্যয় বেশি। কর্পোরেশনের মূল আয় আসে পৌরকর ও ট্রেড লাইসেন্স খাত থেকে। উন্নয়ন ব্যয় অনেক সময় বেশি হলে কর্পোরেশনকে অর্থ সংস্থানের জন্য সরকারের দ্বারস্থ হতে হয়। কিন্তু কেন্দ্রিয় সরকারের পক্ষে সবসময় কর্পোরশেনকে বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হয়না। সরকার স্থানীয় সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কর্পোরশেনগুলোকে তাই অত্মনির্ভরশীল করার উদ্যোগ নিয়েছে। তাই নাগরিকসেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা স্বার্থে নগরবাসীকে পৌরকর প্রদানে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসতে হবে।
সোমবার সকালে পাহাড়তলী থানাধীন সিডিএ মার্কেটের সম্মুখে রাজস্ব সার্কেল-৬ এর স্পট হোল্ডিং টেক্স ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা চৌধুরীর (সিনিয়র সহকারী সচিব) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর কর্মকর্তা (কর) শাহ আলম, কর কর্মকর্তা (লাইসেন্স) বাবু প্রবীর কুমার চৌধুরী, উপ-কর কর্মকর্তা এম মনজুর উদ্দিন চৌধুরী, মো. কামরুল হাসান, উপ-কর কর্মকর্তা (লাইসেন্স) মো.আইয়ুব আলী, হাসান ওসমান গণি, মোবারক উল্লাহ, কর আদায়কারী আবুল মাসুদ ও মোহাম্মদ সোলায়মান, রমিজুল হাসান, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক আরো বলেন, সাধারণভাবে মানুষের মাঝে কোন ধরনের কর প্রদান না করার একটা সংস্কৃতি চালু আছে। কিন্তু বিদেশে রাষ্ট্রের আয়ের ৭০ শতাংশ আসে নানা ধরনের কর থেকে। তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মে অন্যের হক দিয়ে দেয়ার সুস্পষ্ট বিধানের কথা উল্লেখ আছে। সে মতে কর প্রদান যেমন ১৬ কোটি মানুষের হক, তেমনি পৌরকর পরিশোধ চট্টগ্রাম নগরীর ৬০ লক্ষ অধিবাসীর হক। কাজেই নগরের উন্নয়নের স্বার্থে নগরবাসী ডিসেম্বর মাসজুড়ে সারচার্জ ছাড়া পৌরকর প্রদান ও ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের সুযোগ গ্রহন করবেন আশাকরি।
পরে প্রধান অতিথি কর প্রদানকারীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। স্পটে কর প্রদানকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এম এম ইস্পহানী, সফি মোটরস, মেসার্স বাগদাদ কার্পেট ফ্যাক্টরী।