[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
অটো পাসের ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন আগামী নভেম্বরের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা সম্ভব না হলে। তিনি বলেন, ‘নভেম্বরেও স্কুল খোলা না গেলে এবার বার্ষিক পরীক্ষা হবে না। যদি স্কুল খোলা যায়, তবে মূল্যায়নের বিষয়ে একটা ব্যবস্থা নিতে পারব। স্কুল না খোলা গেলে আমরা কী মূল্যায়ন করব?’
গতকাল রবিবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২০ উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সচিব। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪.৭ শতাংশ। ২০০৫ সালে জোট সরকারের সময় এই হার ছিল ৫৩.৫ শতাংশ। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এক কোটি ৮০ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা জ্ঞান প্রদান করা হয়। এ জন্য বাংলাদেশ ইউনেসকো কর্তৃক আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা পুরস্কার ১৯৯৮ লাভ করে। সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে নভেম্বর মাসেও বিদ্যালয় খোলা না গেলে শিক্ষার্থীদের ‘অটো পাস’ দেওয়া হবে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অটো পাসের খবর শুনে শিক্ষার্থীরা যেন পড়াশোনা থেকে সরে না যায়, সে জন্য এখনই কোনো ঘোষণা তাঁরা দিচ্ছেন না।
সিনিয়র সচিব বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাভিত্তিক মূল্যায়ন করতে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। অক্টোবর ও নভেম্বরকে কেন্দ্র করে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। স্কুল খুললে তার ওপর পরীক্ষা নিয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস মূল্যায়ন করা হবে। স্কুল খোলা সম্ভব না হলে আমাদের বিকল্প কোনো উপায় নিয়ে ভাবতে হবে।’
সচিব আরো বলেন, ‘আমরা ঝরে পড়া রোধ করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। করোনার মধ্যে অনেক কিন্টারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ জন্য যেসব স্কুলের আশপাশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকবে, সেখানে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষ।