[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, সারাদেশে তীব্র নদী ভাঙনকবলিত ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে স্থায়ী সমাধানে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রামেই ৭ হাজার ২শ কোটি টাকার ১৩টি প্রকল্প চালু রয়েছে। আগামীতে ভাঙন মোকাবিলায় সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। কাজের গুণগত মান বজায় রাখতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার অনিয়ম, দূর্নীতি ও গাফিলতি সহ্য করা হবে না।
চট্টগ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিন-পূর্বাঞ্চল জোনের কাজের অগ্রগতি বিষয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, নদীভাঙনরোধে পর্যায়ক্রমে ভাঙন কবলিত সব এলাকায় স্থায়ী প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। এসব প্রকল্প সম্পন্ন হলে কয়েক বছরের মধ্যে মানুষ অনেকাংশে জলাবদ্ধতা ও নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। উপকূল অঞ্চলে প্রতিটি বাঁধ প্রশস্ত ও উঁচু করা হচ্ছে, বনায়ন করা হচ্ছে। আর এসব স্থায়ী প্রকল্পে নদী খনন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে এবং তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জনবলও বাড়ানো হয়েছে। যথাসময়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ফলেই গত ১৩ বছরে সারাদেশে নদী ভাঙনের পরিমাণ সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর থেকে কমে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টরে নেমেছে। হাওড় অঞ্চলেও ভাঙনরোধে কাজ করা হচ্ছে।
উপমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের সুবিধা সম্বলিত বাংলাদেশ গড়তে চান। সেজন্য তিনি ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার সিংহভাগ কাজই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।
এসময় চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর, নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অফিস প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।