[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ উল্লেখ করে বলেন ধানক্ষেতে আগুন দেওয়ার ঘটনা সাজানো নাটক , ধানক্ষেতের একপাশে আগুন দিয়ে ছবি তুলে ভিডিও শ্যুট করে সামাজিক ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যোগাযোগ মাধ্যমে । এই খবর সর্বত্র প্রকাশিত হয়েছে ধান ক্ষেতে আগুন দিয়েছে কৃষক । ভারতের ধানে আগুন দেওয়া ছবি চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। এ ধরণের মিথ্যা সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত সংগীত শিল্পী সুবির নন্দীর স্মরণে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কোনো সংবাদ প্রকাশ করার আগে তার সত্যতা যাচাই করে তারপর ভেবে চিন্তে সংবাদ প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই যে সংবাদগুলো পরিবেশন করা হয়, যে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয় তার ইফেক্ট কি সমাজের ওপর পড়ে না? এর সত্যতা আছে কিনা? এই ধরনের সংবাদ প্রকাশ করবেন দয়া করে ভেবে চিন্তে ।
তিনি বলেন, এই সরকারের আমলেই বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। সাম্প্রতিক সংকট নিরসনে সরকার ধান রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। কৃষকের কাছ থেকে মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে ধান কেনা হচ্ছে। কিন্তু এখনো সরকারবিরোধীরা মিটিং, মিছিল, সমাবেশে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এ বিষয়ে করে যাচ্ছে সমালোচনা।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। যখনই কোনো বরেণ্য শিল্পী অসুস্থ হচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে আসছেন। কৃষকদের সমস্যার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই চাল রপ্তানীর প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
সংগীত শিল্পী সুবীর নন্দীকে স্মরণ করে তিনি বলেন, সুবীর নন্দী একজন কালজয়ী সংগীত শিল্পী ছিলেন। সুবীর নন্দী বাংলা গান ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। বর্ণাঢ্য ৫০ বছরের সঙ্গীত জীবনে তিনি আড়াই হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সারহা বেগম কবরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সঙ্গীত শিল্পী এস ডি রুবেল, অভিনেত্রী তারিন জাহান, অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সুবির নন্দীর কন্যা ফাল্গুনী নন্দী মৌ প্রমুখ।