[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
মেট্রোরেলের প্রথম কোচ দেশে এসেছে। আজ সোমবার কনটেইনার থেকে বের করা হয়েছে কোচটির মোড়ক উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের ডিপোতে। জানা গেছে এটি মূলত নমুনা কোচ। এই কোচটির মাধ্যমে মেট্রোরেলে চড়তে শেখানো হবে। মূল পরিবহন বহরে এই কোচ যুক্ত হবে না।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, জাপানের মিৎসুবিশি ও কাওয়াসাকি থেকে তৈরি করে আনা হয়েছে এই কোচটি। শুধু প্রদর্শন করা হবে, যুক্ত হবে না যাত্রী পরিবহন বহরে এই কোচ। মূলকোচগুলো যে উপাদান দিয়ে যেভাবে তৈরি করা হবে এটিও সেভাবেই তৈরি হয়েছে। উত্তরায় মেট্রোরেলের যে তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে এটি সাধারণ মানুষের দেখার ও শেখার জন্য প্রদর্শিত হবে।
মানুষ প্রথম মেট্রোরেলে উঠবে ২০২১ সালে বিজয়ের মাসে বলে আশা প্রকাশ করেন ডিএমটিসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তিনি বলেন, ‘সেই লক্ষ্যমাত্রা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশে আসা মেট্রোরেল ট্রেন সেট জাতীয় পতাকার রঙে সাজানো থাকবে।
আগামী মাস থেকেই উন্মুক্ত করা হবে কোচটি প্রদর্শনীর জন্য। আর আগামী ১৫ জুন বাংলাদেশে এসে পৌঁছবে যাত্রীবাহী মেট্রোরেলের মূল কোচগুলো বলে জানালেন এম এ এন ছিদ্দিক। তিনি বলেন, গত এক বছর ধরে জাপানে এগুলো তৈরি করা হয়েছে। দেশে আসার পর এগুলো অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার (ওসিসি) এর সঙ্গে মিলে চলতে পারছে কিনা তার জন্য ট্রায়াল রান দেওয়া হবে। ভিজিটর সেন্টার নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের ডিপোর পাশে। নমুনা ট্রেনটি এমআরটি তথ্য ও প্রদর্শন কেন্দ্রের ভেতরেই রাখা হবে। দর্শনার্থীদের টিকেট কাটা, ট্রেনে চড়া, দাঁড়ানো, ট্রেন থেকে নামা- এসব বিষয়ে ধারণা দেওয়া হবে সেখানেই।
জানা গেছে ১ হাজার ৭৩৮ জন যাত্রীর পরিবহন করবে মেট্রোরেলের প্রতি র্যাকে। তবে দাঁড়িয়ে যেতে হবে বেশিরভাগ যাত্রীকে। সুব্যবস্থা থাকবে ট্রেনের ভেতর দাঁড়ানোর জন্য। চারটি দরজা থাকবে প্রতিটি কোচের দুদিকে। ট্রেনে সিটের ধরন হবে লম্বালম্বি এবং প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি হুইলচেয়ার পাশাপাশি রাখার ব্যবস্থা। প্রতিটি ট্রেনে একটি কোচ শুধুমাত্র নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে ছয়টি কোচের মধ্যে।