[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছুতে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে গতকাল রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রগতিশীল সাংবাদিক মঞ্চ আয়োজিত ‘উন্নয়নের নেত্রী শেখ হাসিনা’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আজকে ৭৫তম জন্মদিন। প্রধানমন্ত্রী নিজে জন্মদিন পালন করেন না। আমরাই তাঁর জন্মদিন পালন করি। আজকের এই দিনে মহান স্রষ্টার কাছে আমার প্রার্থনা, তাঁর শততম জন্মদিনেও যেন তিনি এই পৃথিবীতে থাকেন এবং দেশের মানুষ তাকে নিয়ে যেন তাঁর শততম জন্মদিন পালন করতে পারে।
‘আজকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। যে স্বপ্নে আমাদের পূর্বসূরিরা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের এই বাংলাদেশ রচনা করে গেছেন, বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের জন্ম দিয়ে গেছেন, লাল সূর্য খচিত সবুজ পতাকার জন্ম দিয়ে গেছেন, সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দরকার’, বলেন ড. হাছান মাহ্মুদ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রাম, ধৈর্য্য এবং অসাধারণ গুণাবলির কারণে, সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও ধীরস্থির থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অসামান্য ক্ষমতার কারণে আজকে বাংলাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। দেশে শেখ হাসিনার বিকল্প জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।
বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বদলে গেছে, স্বল্পন্নোত থেকে মধ্যম আয়ের, খাদ্যঘাটতি থেকে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে, বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে গত সাড়ে ১২ বছরে দারিদ্র্য ৪০ শতাংশ থেকে কমে অর্ধেকে অর্থাৎ ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। আজকে বাংলাদেশ পৃথিবীর সামনে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র।
করোনাকালে অনেকে অনেক শঙ্কা-আশঙ্কার কথা বলেছিল যে দেশে মানুষের লাশ রাস্তায় পড়ে থাকবে অনাহারে হাজার হাজার মানুষের জীবনহানি হবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব বুদ্ধিজীবী এ সমস্ত কথা বলেছেন, তারা ভুলেও ফকিরকে দুটি টাকা দেন না। অনেক আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব যারা বড় বড় পুরস্কার পেয়েছেন, তাদেরকেও এই করোনাকালে দেখা যায় নাই, খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেকে অনেক এনজিও করেন তাদেরকেও এই করোনাকালে খুঁজে পাওয়া যায় নাই, দেখা যায়নি। অথচ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তার সরকার জনগণের পাশে থেকেছে বিধায় এই করোনাকালে বাংলাদেশে একজনও না খেয়ে মৃত্যুবরণ করেনি।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে চেয়েছিলেন কিন্তু তিনি সময় পাননি বিধায় সেটি সম্ভবপর হয়নি। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন স্বাধীনতার ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত হতো।’
মন্ত্রী হাছান বলেন, এই করোনার মধ্যে শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন যে, গৃহহীনদের ঘর করে দেবেন এবং এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ৩ লাখ পরিবারকে ঘর করে দেয়ার পরিকল্পনা সরকার করেছে। ইতোমধ্যেই প্রায় দেড় লাখ মানুষকে ঘর দেয়া হয়েছে। সুতরাং এই করোনার মধ্যেও দেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ডিবিসি২৪ চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, দি ডেইলি সান সম্পাদক ও পিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।