[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
মৃত্যুদণ্ড এড়াতে এবার দিল্লির দূষণকে কাঠগড়ায় তুলেছেন নির্ভয়ার ধর্ষক অক্ষয়কুমার। ক্ষমাভিক্ষা নয়, নতুন করে রায় পুনর্বিবেচনার কথা জানিয়েছেন তিনি। তার যুক্তি, দিল্লির দূষণে তো এমনিতেই তার আয়ু কমছে। তাহলে ফাঁসি দিয়ে লাভ কী! রিভিউ পিটিশনে এমন বেনজির যুক্তিতে হতবাক আইনজীবী মহলেরও একটা বড় অংশ। এদিকে ফাঁসির জন্য প্রস্তুতি চলছে বিহারের বক্সার জেলে। শেষবেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে তিহাড়েও। কারা বিভাগের তরফে বক্সার জেল যে ১০টি নতুন ফাঁসির দড়ি তৈরির বরাত পেয়েছে, তা জানা গিয়েছিল গতকাল।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি এক প্রস্ত মহড়াও হয়ে গেছে সেখানে। গত সপ্তাহে পাওয়া দড়ির ‘অর্ডার’, ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ‘ডেলিভারি’ করার কথা বক্সারের। কোথায় জানা নেই জেল কর্তৃপক্ষের। স্পষ্ট করে কিছু বলছে না তিহাড়ও। তবু দেশ জুড়ে জোর জল্পনা, নির্ভয়া মামলার চার আসামিকে ঝোলাতেই কোমর বেঁধে কাজ চলছে দেশের দু’প্রান্তের দুই জেলে।এরই মধ্যে সাজা মওকুফের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অক্ষয়কুমার। তার আইনজীবী এ পি সিংহ এ দিন দাবি করেন, ঘটনার দিন তার মক্কেল দিল্লিতেই ছিলেন না। আদালত চাইলে তার সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতেও তিনি তৈরি বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সিংহ। অনেকেই অবশ্য মনে করছেন, এতে আখেরে লাভ কিছুই হবে না।
কিন্তু ফাঁসি কবে? গতকাল বক্সার জেলের সুপার বিজয়কুমার অরোরা বলেছিলেন, তৈরির পরে ফাঁসির দড়ি বেশি দিন ফেলে রাখা যায় না। তাহলে কি দিনক্ষণ চূড়ান্ত? ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরের রাতে গণধর্ষণের পরে চলন্ত বাস থেকে দিল্লির রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হয়েছিল নির্ভয়াকে। ঘটনার সাত বছর পরে ফাঁসিও কি তাহলে ওই ১৬ ডিসেম্বরই? স্পষ্ট উত্তর নেই।