[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, শিক্ষা হলো দক্ষ মানবসম্পদ ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনের চালিকাশক্তি। আর প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে সকল শিক্ষার মূলভিত্তি। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার কারিগর হলো সুশিক্ষিত শিক্ষক সমাজ। বর্তমান সরকার উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ ও প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষকদের জন্য দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য পদোন্নতিসহ উন্নত বেতন স্কেল দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ঘোষিত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব দিবে আজকের শিশুরা। তাই তাদেরকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষকদের। শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষকদের ভূমিকা হবে নিজ সন্তানের মতো।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল কক্সবাজারে কক্সবাজার জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নবনিয়োগকৃত সহকারী শিক্ষকদের দুই দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রতন চন্দ্র পন্ডিত এবং চট্রগ্রাম বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপপরিচালক ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে এমডিজি’র শর্ত পূরণ করা হয়েছে। এখন এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের শিক্ষক সমাজকে নিতে হবে। তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, আপনরা একটি মহান পেশা গ্রহণ করেছেন। এ পেশাটাকে কোন চাকরির সাথে তুলনা করবেন না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে ১৯৭৩ সালে ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষককে সরকারিকরণের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতির সোপান রচনা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক শিক্ষাকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১৯৩টি রেজিস্টার্ড ও কমিউনিটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণসহ প্রধান শিক্ষকের পদকে দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা প্রদান করেন এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেল একধাপ উন্নীতকরণসহ ১ লাখ ৫ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে এটি আরেকটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।