ত্রাণ নিয়ে অনিয়মে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও ৩ সদস্য বরখাস্ত

বুধবার, এপ্রিল ২৯, ২০২০,৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ
0
15

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

ত্রাণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে আরো একজন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও তিন ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

যে ইউপি চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে তিনি হলেন কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী।

আর সাময়িক বরখাস্ত ইউপি সদস্যরা হলেন নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার চর-আড়ালিয়া ইউপি’র ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. বাচ্চু মিয়া, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউপি’র ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শরিফুল ইসলাম এবং দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউপি’র ৯ নম্বর  ওয়ার্ডের মো. হাবিবুর রহমান।

এ নিয়ে ত্রাণে অনিয়মের অভিযোগে এ পর্যন্ত ৩৯ জন জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্তদের ১৬ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ২২ জন ইউপি সদস্য এবং একজন জেলা পরিষদ সদস্য।

আজ বুধবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কক্সবাজার জেলার টৈটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী সরকারি ত্রাণের চাল আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন।

পৃথক প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয় নরসিংদী জেলার চর-আড়ালিয়া ইউপি সদস্য মো. বাচ্চু মিয়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন। নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আইন অনুযায়ী তাঁকে অপসারণের সুপারিশ করেছেন।

এছাড়া কুষ্টিয়া জেলার নন্দলালপুর ইউপি সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে নিম্ন আয়ের  শ্রমজীবী মানুষের জন্য বরাদ্দ সরকারি ত্রাণ লুটের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। আর দৌলতপুর ইউপি সদস্য মো. হাবিবুর রহমান সরকারি ত্রাণ ভুয়া মাস্টাররোলে বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে বিধায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আইন অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ থেকে তাঁকে অপসারণের সুপারিশ করেছেন। এ কারণে  স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাঁদের স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

একইসময় পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাঁদেরকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা  হয়েছে।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে