তাড়াইলে গ্রামীণ রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে

বৃহস্পতিবার, জুলাই ১০, ২০২৫,৫:৩৮ অপরাহ্ণ
0
14

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

আল-মামুন খান, নিজস্ব প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের বান্দুলদিয়া আব্বাসিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা থেকে খালপাড় পর্যন্ত ১ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তার বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় ভাঙা সড়ক, খানাখন্দ, কাদা ও জলাবদ্ধতা জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এই দুর্ভোগ আরও প্রকট আকার ধারণ করছে।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের বান্দুলদিয়া গ্রামের আব্বাসিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা থেকে খালপাড় পর্যন্ত এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাজুড়ে রয়েছে বড় বড় গর্ত ও কাদার স্তূপ। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী, কৃষক, দিনমজুর থেকে শুরু করে হাজারো মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু রাস্তাটির এ দুরবস্থা যান চলাচলকে প্রায় অচল করে তুলেছে। ভ্যান, অটোরিকশা ও ইজিবাইক চালকরা কোনোভাবে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

বান্দুলদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মাস্টার মতিউর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক হাজী আবদুর রশিদ ও সোহাগ মিয়া জানান, শুকনো মৌসুমেও রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী থাকে। যানবাহনের যাতায়াত ব্যাহত হওয়ায় বিকল্প রুটে যেতে হয়, এতে সময় ও খরচ দুটিই বাড়ছে। বান্দুলদিয়া গ্রামের কৃষক তরিকুল ইসলাম, বজলুর রহমান ও আবদুল মোতালিব বলেন, ফসল নিয়ে বাজারে যেতে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হয়। ধান, চাল বা সবজি বিক্রি করেও লাভ থাকে না। বান্দুলদিয়া আবদুর রহমান ভুঁইয়া বাজারের ইজিবাইক ও অটোভ্যান চালক সবুজ মিয়া, বাছির মিয়া ও জসিম মিয়া বলেন, রাস্তাটি ভালো থাকলে এক হাট থেকে আরেক হাটে যেতে সহজ হতো। এখন সময় ও খরচ দুটোই বেড়ে গেছে। যাত্রীও কমে গেছে। খানাখন্দ আর কাদার কারণে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে বাড়ি ফিরতে হয়। গাড়ির কন্ট্রোল বক্স ও মোটর বারবার নষ্ট হয়ে যায়। স্থানীয় দোকানদার শফিকুল ইসলাম, মোবারক মিয়া ও নুরুল ইসলাম বলেন, মাল আনতে অতিরিক্ত ভাড়া লাগছে, এতে ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে।

উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হারেছ উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বারবার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কাজ হচ্ছে না। এলাকাবাসীর পক্ষে তিনি আরও বলেন, রাস্তাটি দ্রুত পাকা করাসহ স্থায়ী সমাধান খুবই জরুরি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পপি খাতুন বলেন, তালজাঙ্গা ইউনিয়নের বান্দুলদিয়া আব্বাসিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা থেকে খালপাড় পর্যন্ত ১ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে জুয়েল মিয়া লিখিত একটি আবেদন দিয়েছেন। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অতিদ্রুত রাস্তাটি পাকা করা হবে।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে