[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে আদালতে যেকোনো আবেদন করার সময়সীমা নির্দিষ্টকরণ (তামাদি) বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা চেয়ে। আজ রবিবার এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী শিকদার মাহমুদুর রাজি ও মো. জহিরুল ইসলামের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
নোটিশে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ২৯ মার্চ থেকে সুপ্রিম কোর্ট এবং সকল অধঃস্তন আদালতের স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে গত ৯ মে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার অধ্যাদেশ জারি করেন। উক্ত অধ্যাদেশের আলোকে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য গত ১০ মে সুপ্রিম কোর্ট পৃথক পৃথক প্র্যাকটিস নির্দেশনা জারি করে। প্র্যাকটিস নির্দেশনা অনুযায়ী অধঃস্তন আদালতকে শুধু জামিন শুনানির ক্ষমতা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে গত ৩১ মে সুপ্রিম কোর্ট অধঃস্তন আদালতের জন্য আরেকটি নির্দেশনা জারি করে। এই নির্দেশনায় আগের প্র্যাকটিস নির্দেশনা অনুসরন করে অধঃস্তন আদালত সমুহকে অতীব জরুরী বিষয় শুনানির ক্ষমতা দেওয়া হয়।
কিন্তু কোনো নির্দেশনাতেই বিভিন্ন আইনে মামলা এবং অন্যান্য আবেদন দাখিলে তামাদির বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে কিছুই উল্লেখ নেই। উচ্চ আদালত থেকে এ সম্পর্কে কোনো নির্দেশনাও দেওয়া হয়নি। কিন্তু কিছু বার অ্যাসোসিয়েশন(আইনজীবী সমিতি) এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নেগুসিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট, ১৮৮১ এর অধীনে মামলা দায়েরের নির্দেশনা প্রদান করছেন। তারা মামলা দায়েরের ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশনা (ই-মেইলে মামলা দায়ের, সশরীরে মামলা দায়ের, তামাদি মওকুপের আবেদন প্রভৃতি) দিচ্ছেন। এ সকল নির্দেশনা বিচারিক ব্যবস্থায় অনিশ্চয়তা তৈরি করছে যা কাম্য নয়।
এমতাবস্থায় বিচারিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান অতীব জরুরি।