[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
আল-মামুন খান, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়ন, ধলা ইউনিয়ন, দামিহা ইউনিয়নের হাজারও পরিবার এখন পানিবন্দি জীবন যাপন করছে।
বন্যাদুর্গত এলাকা হিসেবে গ্রামের অধিকাংশ এলাকা এখন পানি বেষ্টিত এক গোলাকার দ্বীপে পরিণত হয়ে গেছে। আগে যেসব রাস্তা দিয়ে হরহামেশা ছুটে চলতো মানুষ ও নানান ধরনের রঙবেরঙের শতশত ছোটবড় গাড়ি। এখন সেখানে জলে ভাঁসছে নৌকা ও কলা গাছের ভেলা। একে করোনা অন্যদিকে বন্য এ যেন এক হতাশার অন্যরুপে দাঁড়িয়ে গেছে এসব এলাকার অসহায় মানুষজনের জীবনযাত্রার মান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ি থেকে বের হওয়ার উপায় বলতে নৌকা, কলা গাছের ভেলা অথবা কোমর পানি ঠেলে এগিয়ে চলা। বন্যার প্রবল তোপে এসব এলাকার কর্মহীন মানুষগুলো যেন এখন আরও বেশী নিরুপায় ।
বন্যা কবলিত এলাকা তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের সাচাইল গ্রামের বন্দের বাড়ির
ইদ্রিস মিয়া ও আনোয়ার হোসেন বলেন, বন্যার পানিতে তাদের বাড়ি-ঘর এখন হাবুডুবু অবস্থা। সারাদিন মাটি ফেলেও কোনো লাভ হচ্ছেনা। ওই পাড়ার অন্য বাসিন্দারা বলেন, আমরা গরীব, অসহায় দীন এনে দিন খাওয়া মানুষ। আমরা এখন পেটের খাবার যোগার করবো নাকি বাড়িঘরে মাটি কাটবো বলেই তারা কাঁদতে শুরু করেন। অন্যদিকে উম্মে কুলসুম বলেন, আমার ঘরসহ আশপাশের সব জায়গায় পানি থৈ থৈ করছে। ঘরে বসবাস করার মতো কোনো অবস্থা নেই। পরিবারের বাসিন্দা ও আসবাবপত্র নিয়ে অন্যত্র চলে এসেছি।
তাছাড়াও দামিহা ইউনিয়নের নগরকুল গ্রামের ইউপি সদস্য রমজান আলী বলেন, বন্যার পানিতে আমরা এখন নিরুপায় ও অসহায়। আমাদের দাবি, সরকার যেন তাদের প্রতি সুদৃষ্টি দিয়ে এই বিপদকালীন সময়ে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মাহমুদ বলেন, বন্যা কবলিত গ্রামগুলো আমি পরিদর্শন করব। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলে দিচ্ছি তারা যেন সরেজমিনে খোঁজ-খবর নেন।