[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং ধর্ষণের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে আজ ৬ জানুয়ারি ২০২০ বিকাল ৩:৩০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধি দুর্নীতি ও বিচারহীনতার উপর ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বললে বিচার হয়, না বললে বিচার হয় না। আমরা এ রাজনীতি থেকে মুক্ত হতে চাই এবং ধর্ষণের বিচার চাই। তিনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও নারী নির্যাতনের ঘটনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেয়ার দাবি জানান। ধর্ষককেই প্রমাণ করতে হবে তিনি ধর্ষণ করেন নাই। তিনি সকল ছাত্র সংগঠন ও ছাত্র সমাজকে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং বিচারের দাবিতে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহসাধারণ সম্পাদক, অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম, ভারপ্রাপ্ত আন্দোলন সম্পাদক রেখা চৌধুরী, ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক, রেহানা ইউনুস, পরিচালক লিগ্যাল এডভোকেসি এন্ড লবি মাকসুদা আক্তার লাইলী, পরিচালক এডভোকেসি এন্ড লবি জনা গোস্বামী বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক এবং উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইখ ইমতিয়াজ এবং শিক্ষার্থী সুয়িলা সাফারা।
ড. সাইখ ইমতিয়াজ বলেন, গত বছর ১৭০০ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগের বয়স ১২ বছরের নিচে এবং ৩ থেকে ৬০ বছরের কন্যা ও নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। প্রতিনিয়ত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে কিন্তু আমরা ন্যায়বিচার পাচ্ছি না। তিনি ধর্ষণের মামলার দ্রুত বিচার আইন করার আহবান জানান।

সংগঠনের সহ-সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত আন্দোলন সম্পাদক রেখা চৌধুরী এই ধর্ষণ ঘটনার দ্রুত বিচার ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সহসাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম বলেন, আমরা দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে ধর্ষণের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছি কিন্তু আজও ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করতে পারছি না। ধর্ষণ নারীকে অবদমিত করার প্রধান অস্ত্র।
অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্ষককে গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান এবং নির্যাতনের শিকার নারীর নাম পরিচয় গোপন রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগর শাখার আন্দোলন সম্পাদক জুয়েলা জেবুননেসা খান, সংগঠক, কর্মকর্তা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। মানবন্ধন সঞ্চালনা করেন অ্যাড. দিপ্তী রাণী সিকদার।