[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাণিজ্যের সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডাকঘর ডিজিটাল করা অপরিহার্য। ডিজিটাল যুগের উপযোগী ডাক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের পথ নকশা তৈরির কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। ডাক ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করার পাশাপাশি কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করা হয়েছে। জনগণের দোরগোড়ায় ডকুমেন্টসহ বিভিন্ন পণ্য ডেলিভারির বিশাল চাহিদাপূরণে ডাকঘরকে উপযোগী করার চলমান কর্মসূচি সফল করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী গতকাল ঢাকা জিপিও মিলনায়তনে আয়োজিত ডাক অধিদপ্তরের বিদায়ি মহাপরিচালক মো: সিরাজ উদ্দিনের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, ই-কমার্সের জন্য ডাকঘর এখন একটা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। হিমায়িত খাবার থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিতে ডাকঘরের বিকল্প নেই। করোনাকালে কৃষকের ফল, সবজি পরিবহণ থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জাম জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে ডাক সেবার অবদান গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি সেবার আওতায় ডাকঘর একদিনের জন্যও বন্ধ রাখা হয়নি। ডাক ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডাকঘরকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রণীত ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবের (ডিএসডিএল) প্রস্তাব একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক।
ডাক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হারুন উর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: খলিলুর রহমান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক রিয়াজুল ইসলাম, খুলনা রেঞ্জের পিএমজি মো: শামসুল আলম এবং ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক এসএম হারুনুর রশিদ বক্তৃতা করেন।