[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
বাংলাদেশ রেকর্ড জয়ের ইতিহাস গড়ল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। বাংলাদেশ ৬০ রানের বিশাল জয় পেয়েছে অসিদের ৬২ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে। তবে টি-টোয়েন্টিতে এর আগে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯০ রান করে সর্বোচ্চ ৭১ রানের জয় পায়।
ইনিংসের শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৩.৪ ওভারে ৬২ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচের শেষ টি-টোয়েন্টি ১২৩ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে।
অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে উইকেট হারায়। নাসুম আহমেদ নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৩ রানে ড্যান ক্রিস্টিয়ানকে আউট করে অসিদের ওপেনিং জুটি ভাঙেন। এর আগে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বাঁ-হাতি এ স্পিনার মাত্র ৮ রানে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে আউট করে ওপেনিং জুটি ভেঙে ছিলেন।
দলীয় ১৭ রানে ৩.৫ ওভারে নাসুমের দ্বিতীয় শিকার হন মিচেল মার্শ। সিরিজের আগের চার ম্যাচে ৪৫, ৪৫, ৫১ ও ১১ রান করা এ তারকা ব্যাটসম্যানকে এদিন ৪ রানের বেশি করতে পারেনি।
নাসুম আহমেদ, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের আঘাত। অস্ট্রেলিয়া নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ১২২ রান করে উড়ন্ত সূচনা করা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারায়। সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
দুই ওপেনার মেহেদি হাসান ও নাঈম শেখ ব্যাটিংয়ে নেমে শুভ সূচনা করেন। ৪.৩ ওভারে দলীয় ৪২ রানে সাজঘরে ফেরেন মেহেদি হাসান। সাজঘরে ফেরার আগে এ অলরাউন্ডার ১২ বলে ১৩ রান করেন।
অন্য ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমও দলীয় ৫৭ রানে ফেরেন। তিনি ২৩ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ২৩ রান করে ফেরেন। নাঈম আউট হওয়ার পর অ্যাডাম জাম্পার বলে এলবিডব্লিউ সাকিব আল হাসান। ২০ বলে ১১ রান করার সুযোগ পান তিনি।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলীয় ৮৪ রানে ফেরেন সাকিব আউট হওয়ার পর। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি ১৪ বলে এক ছক্কায় করেন ১৯ রান। রিয়াদ আউট হওয়ার পর ৩৪ রানের ব্যবধানে সৌম্য সরকার, নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ফেরেন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন নাথান এলিস ও ডেন ক্রিস্টিয়ান। অন্যদিকে অ্যাস্টন টার্নার, অ্যাস্টন অ্যাগার ও অ্যাডাম জাম্পা একটি করে উইকেট শিকার করেন।
টাইগার ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ভালো স্কোর গড়া সম্ভব হয়নি। স্বাগতিকরা ৮ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান করে। এতেই বাংলাদেশ ৬০ রানের বিশাল জয় পেয়েছে ‘ক্রিকেট মোড়ল’ অস্ট্রেলিয়ার কাছে।