[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
দেশের সকল ঝুঁকিপূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ সরকারি বেসরকারি স্কুল-মাদরাসা চিহ্নিত করে সেগুলো নিরাপদ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ স্কুল-মাদরাসা চিহ্নিত করতে জরিপ চালানোর ।
এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করে আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। স্থানীয় সরকার সচিব, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলীকে
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ আদেশ দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসান তারেক পলাশ ও ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী ব্যারিস্টার মো. কাউসারের করা এক রিট আবেদনে । রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব, মোজাম্মেল হক ও মো. মাজেদুল কাদের। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
রুল জারি করা হয়েছে অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি । রুলে সরকারি-বেসরকারি স্কুল-মাদরাসার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিরাপদ বা ঝুঁকি মুক্ত করতে বিবাদিদের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলীকে।
গত ৬ এপ্রিল বরগুনার আমতলীতে পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ ধসে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মনুসরা মারা যায়। এ ছাড়া কয়েকজন আহত হয়। এই হতাহতের ঘটনায় নিহতের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে ও যথাযথ চিকিত্সা দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়।