[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার ৯জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রান্তি বিনোদন ভাতার নামে সরকারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে এ সংক্রান্ত সকল নথিপত্র গায়েব করে ফেলেছে।
আত্মসাৎ এর ঘটনাটি ২০১৯ সালের আগষ্ট-সেপ্টেম্বর মাসে ঘটলেও এখনও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ। দায় সাড়াভাবে একটি কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়ে অদৃশ্য কারণে থমকে গেছে তদন্ত কার্যক্রম। ভাতা উত্তোলণের নথিপত্র উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও হিসাব রক্ষণ অফিসে সংরক্ষিত থাকার কথা থাকলেও রহস্য জনক কারনে কোথাও কোনো নথিপত্র নেই।
অভিযুক্ত শিক্ষকদের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনের স্টেটমেন্টের মাধ্যমে এ অর্থ আত্মসাৎতের প্রমান মিলেছে।
জানা যায়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ১৮নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেহেদি হাসান, ৫৯নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোঃ মিজানুর রহমান, ৩০নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জেসমিন আক্তার মুকুল, ১২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খাদিজা আক্তার, আউরা-জয়খালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অজিত কুমার নাথ, ১২৮নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেলিনা খানম, ১০নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনিল কৃষ্ণ দাস, ১১৭নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মুকুল আক্তার ও ১১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শাহারুম মিয়া শ্রান্তি বিনোদন ভাতার নামে অবৈধ সরকারি ৪,২৩,৬৭০/- টাকা আত্মসাৎ করেন।
উল্লেখ্য যে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিয়মানুযায়ী ৩ বছরে একবার কমপক্ষে ১৫ দিনছুটি ভোগকালীন সময়ে মূলবেতনের সমপরিমান টাকা শ্রান্তি বিনোদন ভাতা হিসেবে উত্তোলণ করতে পারবেন। অথচ উল্লেখিত শিক্ষকরা ২০১৯ সালের আগষ্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে কেহ ২ বার, কেহ ৩ তিন করে শ্রান্তি বিনোদনভাতা উত্তোলণ করে নিয়েছেন। পরবর্তীতে শিক্ষাঅফিস ও হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে এ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র তারা গায়েব করে ফেলেন।
পরে তাদের ব্যাংক হিসাব বিবরণীর মাধ্যমে এ অর্থ আত্মসাৎ এর প্রমান মেলায় গত ১৬ জুন ২০২০ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নাছির উদ্দিন খলিফা ওই শিক্ষকদের কারন দর্শানো নোটিশ দেন। পরে অদৃশ্য কারনে আর কোনো অগ্রগতি নেই এই দূর্নীতির।
এ বিষয় কাঠালিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোজাম্মেল জানান, “অভিযুক্ত শিক্ষকরা কারণ দর্শানো নোটিশের সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। তাই অল্প সময়ের মধ্যে আত্মসাৎকৃত সরকারি টাকা কোষাগারে জমা দেয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হবে এবং পরবর্তীতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হবে”।
এ ব্যাপারে কথা হয় ঝালকাঠি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম এর সাথে “তিনি জানান জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোস্তফা কামালকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। করোনার কারনে তদন্তে বিলম্ব হচ্ছে। তবে তদন্ত রিপোর্ট পেলে বিভাগী ব্যবস্থা নেয়া হবে”।