[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
আগামী অর্থবছরের জন্য মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ চলমান করোনা মহামারীর মধ্যেও।
গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের সময় এ লক্ষ্যমাত্রা তুলে ধরেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গত এক দশক ধরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ক্রমাগত হারে বেড়েছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমকি ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে, যা এশিয়ার সব দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। আমাদের প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি ছিল শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা। কিন্তু কভিড-১৯ এর ফলে বিশ্বব্যাপী দীর্ঘসময় ধরে চলা লকডাউনের কারণে রপ্তানি কমায় এবং প্রবাস আয়ে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জিত না হওয়ায় চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার সংশোধন করে ৫ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। করোনা পরবর্তী উত্তরণের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, কভিড পরবর্তী উত্তরণের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দর্ঘিমেয়াদি পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সময়ে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ হবে বলে আশা করছি।
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি সরকার ৫ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করলেও বিশ্ব ব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে নতুন অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি সরকার ৮ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করলেও বিশ্ব ব্যাংক বলছে, করোনার কারণে নতুন অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ১ শতাংশ। গত ৮ জুন বিশ্ব ব্যাংক তাদের এক পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এসব জানিয়েছে।