[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
রোগমুক্ত ও সুস্থ আগামী প্রজম্ম গড়তে চট্টগ্রাম নগরীতে আজ শনিবার দিনব্যাপি উদযাপিত হলো জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২০ ।
এই উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত নগরীর আগ্রাবাদ টিএন্ডটি কলোনী প্রাইমারি বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে একটি শিশুকে ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাইয়ে দিয়ে জাতীয় ভিটামিন “এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন- ২০২০ এর উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চসিক স্বাস্থ্য,শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান,স্বাগতিক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চু,সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা জাবেদ।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সেলিম আকতার চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন চসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ আলী। এই সময় উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ জাকারিয়া, রিদওয়ান, টিএন্ড টি মধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আহমদ,প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজি সুলতানা শাহীন,অরুণ চন্দ্র দাশ ও তাজুল ইসলামসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন আগামী প্রজম্মকে সুস্থ দেহ ও মনের অধিকারী গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। রাতকানা রোগ এবং অন্ধত্ব একটি অপুষ্টিজনিত সমস্যা,যা ভিটামিন “এ” অভাবে হয় । তাই সরকার সবধরণে অপুষ্টি রোধে জাতীয় পুষ্টিসেবা কাযক্রমসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহন করেছে।
তিনি বলেন এই অপুষ্টিজনিত রোগ প্রতিরোধে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল কার্যকরি ভুমিকা পালন করে থকে। তাই বর্তমান সরকার এর উদ্যোগে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। এর ফলে রাতকানা রোগ ও অন্ধত্বের হার বর্তমানে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শারীরিক ও মানসিকভাবে স্বাস্থ্যবান করে গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি নগরবাসিকে এগিয়ে আসার আহবান জানান মেয়র। তিনি বলেন, অন্ধত্বের মত অভিশাপ আর কিছু নেই। নিজেদের অজ্ঞতার কারনে জন্মের পর শিশুরা অন্ধহয়ে যায়। এই ব্যাপারে সকল অভিভাবক বিশেষ করে মা ও বাবা কে সচেতন হতে হবে ।
এই কর্মসূচি থেকে যাতে একটি শিশু যেন বাদ না পড়ে, সেই জন্য সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নগর স্ব্স্থ্যা সহ সংশ্লিষ্ট টীকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে । এই সময়ের মধ্যে নিজ নিজ শিশুকে পার্শ্ববতী সেন্টারে নিয়ে ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়ানো জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান মেয়র। সিটি মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪১টি ওয়ার্ডে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ১২৮৮ টি কেন্দ্রে ০৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ৮০ হাজার শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ৩০ হাজার শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ঊদ্যোগ নিয়েছে চসিক। এই প্রসঙ্গে বিগত সময়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এ বছরও শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে বলে প্রত্যাশা করেন সিটি মেয়র।
ভিটামিন “এ”প্লাস ক্যাম্পেইন এ নগরে অবস্থিত সকল সরকারি – বেসরকারি এবং স্বায়ত্বশাসিত কর্মকর্তাগন ছাড়াও প্রায় ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক , চসিক জোনাল অফিসার , মেডিকেল অফিসার ,ইপিআই টেকনিশিয়ান , সুপারভাইজার ,স্বাস্থ্য সহকাররি , টীকাদান ও স্বাস্থ্যকর্মী এ কাজে নিয়োজিত ছিলেন । এই কাজে যারা সহযোগিতা করেছেন বিশেষ করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ,স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় , স্বাস্থ্য অধিদপ্তর , জাতীয় পুষ্ঠি প্রতিষ্ঠান ,ব্শ্বি স্বাস্থ্য সংস্থা ,ইউনিসেফ , বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য সিভিল সার্জন চট্টগ্রাম , বিভিন্ন এনজিও সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ঠদের ধন্যবাদ জানান মেয়র। পরে মেয়র ২৪নং উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।