[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। মৎস্যসম্পদের টেকসই উন্নয়ন ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে এ উদ্যোগ সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
কোভিড-১৯ মহামারিজনিত বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা সমুন্নত রাখতে মুজিব শতবর্ষের চেতনায় একাত্ম হয়ে এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি করি, সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ি’ যথার্থ এবং তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে রুপান্তরে মৎস্যখাতের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট সকলে আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে কাজ করবেন- এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।
“মাছে ভাতে বাঙালিˮ- বাঙালির শাশ্বত এই পরিচয়েই নিহিত রয়েছে আমাদের জাতীয় জীবনে মৎস্যের গুরুত্ব। দেশের আপামর জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমিষের চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচনসহ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে মৎস্য খাতের ভূমিকা অপরিসীম। সরকার মৎস্য খাতের বিপুল সম্ভাবনা ও গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে এর উন্নয়নে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করছে। এ সেক্টরের উন্নয়নে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টা, টেকসই প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সহযোগিতার বিষয়টি প্রশংসনীয়।
মৎস্য খাতের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মৎস্যচাষ যান্ত্রিকীকরণ ও নিবিড়করণের পাশাপাশি দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছসহ দেশীয় প্রজাতির মৎস্য রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে হবে। তাছাড়া উন্মুক্ত জলাশয়ের পরিবেশ ও প্রতিবেশের উন্নয়নসহ জলজ দূষণ রোধকল্পে আরো কার্যকর ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি বলে আমি মনে করি। সরকারের সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে অর্জিত বিশাল সমুদ্র এলাকায় সুনীল অর্থনীতির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বঙ্গোপসাগরে মৎস্য জরিপের কার্যক্রম পরিচালনা করায় আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় সামুদ্রিক মৎস্যের মজুদ নিরূপণ, যথাযথ সংরক্ষণ ও বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের মাধ্যমে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের টেকসই উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে দেশবাসী প্রত্যাশা করে।
আমি জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২০ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
