[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কে দেশব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পঞ্চম বারের মতো ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২০’ উদ্যাপন একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের অঙ্গিকার, শোভন কর্মপরিবেশ হোক সবার’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর তৎকালীন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সকল কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। বঙ্গবন্ধুর এ সিদ্ধান্তের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল কলকারখানাগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শকে সামনে রেখেই বর্তমান সরকার দেশের সকল শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ বছর এমন একটি দুর্যোগময় মুহূর্তে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস পালিত হচ্ছে যখন করোনা ভাইরাস সংক্রমণে সৃষ্ট মহামারীর ফলে সারাবিশ্বে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। শুধু করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য নয় বরং শ্রমিক-কর্মচারীদের সার্বিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য আজ বিশ্বব্যাপী বিস্তার লাভ করেছে। শিল্প-কারখানা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তৈরি হয়েছে অসংখ্য নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র। রপ্তানি বাণিজ্যের বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি আরো সম্প্রসারণে শ্রমিকদের সুস্বাস্থ্য ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতসহ উৎপাদনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মালিক, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টিকে কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের মাঝে সীমাবদ্ধ না রেখে জাতীয় সংস্কৃতি হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা প্রতিটি শ্রমিকের আইনগত অধিকার। সকল পর্যায়ে কর্মস্থলে নিরাপদ পরিবেশ ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য শ্রম আইনের যথাযথ প্রয়োগ, পরিবেশগত উদ্যোগ ও বিনিয়োগ একান্ত আবশ্যক বলে আমি মনে করি।
আমি শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা এবং নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকল্পে সরকার, মালিক, শ্রমিকসহ উন্নয়ন অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”