[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ধারাবাহিকভাবে এবারও ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২০’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। দিবসটি উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শ্রমজীবী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে শ্রমিকের জীবনমান ও কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, শোভন কর্মপরিবেশ হোক সবার’ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য রক্ষায় এই প্রতিপাদ্যের সাথে গৃহীত সকল কার্যক্রম তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং কর্মক্ষেত্রে পরিবেশের উন্নয়ন ঘটিয়ে দুর্ঘটনা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সঠিক বার্তা পৌঁছে দিতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা শ্রমিকদের জন্য শোভন, সুষ্ঠু ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টিসহ তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন ও হালনাগাদ করেছি। এছাড়া আমাদের সরকার ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা ২০১৩’ ও ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫’ প্রণয়ন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার জন্য পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নির্মাণ- এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা শ্রমিকদের চিকিৎসায়, তাঁদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় এবং কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা কবলিত শ্রমিক পরিবারকে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে নিয়মিতভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছি। আমাদের এসব উদ্যোগের ফলে কর্মপরিবেশসহ শ্রমিকদের জীবনমানের উত্তরোত্তর উন্নতি সাধিত হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করবার যে লক্ষ্য নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, সেই লক্ষ্য অর্জনে সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতাবোধ সৃষ্টি করার কোন বিকল্প নেই। মুজিববর্ষেই শোভন ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে আমি সকলকে আহ্বান জানাই।
এ বছর ভিন্ন একটি প্রেক্ষাপটে দিবসটি পালিত হচ্ছে যেখানে সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) এর সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ পরিগ্রহ করেছে। করোনা সংক্রমণসহ সকল প্রকার স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সারা বিশ্বকে একযোগে কাজ করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। এ মহামারী থেকে একে অপরকে রক্ষা করতে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে কর্মক্ষেত্র, বাসস্থান এবং বহিরাঙ্গণে সর্বত্রই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
আমি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২০’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”