[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আজ ৫ ডিসেম্বর ‘জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা-২০২১’উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) ‘জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২১’ আয়োজন করছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও জাতীয় অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে এসএমই’র গুরুত্ব অপরিসীম। এসএমই খাতের উন্নয়নের মাধ্যমেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আজ শিল্পোন্নত এবং এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাফল্য অর্জন করেছে। সরকার বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্য অর্জনে দেশের বিপুল শ্রমশক্তিকে উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে গড়ে ওঠা দেশীয় কাঁচামাল নির্ভর শ্রমঘন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানাগুলো কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও সামাজিক বৈষম্য নিরসনে বিশেষ অবদান রাখছে। দেশের শক্তিশালী অর্থনীতির জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিকাশের এই ধারা অব্যাহত রাখা খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি।
এসএমই শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে টিকে থাকার বিষয়টি পণ্যের গুণগত মান ও বিপণন কৌশলের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা উৎপাদনকারী এবং ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে, যা পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের আধুনিক কলাকৌশলের সাথে তাদের পরিচয় করিয়ে দিতে সহায়ক হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এসএমই শিল্পের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। আমি আশা করি, এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এসএমই পণ্য মেলা কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
আমি ‘জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা-২০২১’ এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”