[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘জাতীয় আয়কর দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ৩০ নভেম্বর ‘জাতীয় আয়কর দিবস ২০২০’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি সকল সম্মানিত করদাতা এবং কর বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। ‘সবাই মিলে দিব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’- স্লোগানকে সামনে রেখে এ বছর জাতীয় আয়কর দিবসের প্রতিপাদ্য ‘স্বচ্ছ ও আধুনিক করসেবা প্রদানের মাধ্যমে করদাতা-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
দেশের উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে অভ্যন্তরীণ সম্পদের পর্যাপ্ত যোগান অপরিহার্য। আর অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের অন্যতম প্রধান খাত হিসাবে আয়করের গুরুত্ব অপরিসীম। পৃথিবীর সকল উন্নত রাষ্ট্রের প্রধান রাজস্ব উৎস হিসেবে বিবেচিত হয় প্রত্যক্ষ কর বা আয়কর। আয়কর কেবল রাজস্ব আহরণের প্রধান খাত নয়, এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কার্যকরী একটি মাধ্যম। আমরা রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ এর পথ ধরে সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার পথে অগ্রসর হচ্ছি। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বৃদ্ধির বিকল্প নেই। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে করদাতার সংখ্যা এবং আয়কর খাতে রাজস্ব আহরণ আরো বৃদ্ধি করতে হবে। আমি আশা করি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ লক্ষ্যে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
করোনা মহামারির মধ্যেও রাষ্ট্রের রাজস্ব ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ নিরলস করসেবা প্রদান করে যাচ্ছেন যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আয়কর বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও জনগণকে আয়কর প্রদানে উৎসাহিত করতে আয়কর দিবস উদ্যাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে দেশে একটি করবান্ধব সংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে বলে আমি মনে করি। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আমি সম্মানিত করদাতাবৃন্দকে সময়মতো আয়কর প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি।
‘জাতীয় আয়কর দিবস ২০২০’ উদ্যাপন সফল ও সার্থক হোক এ প্রত্যাশা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”