[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আজ ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২১ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ কর্তৃক ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২১’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকারকে অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। অসচ্ছলতা, অজ্ঞতা ও নানাবিধ আর্থসামাজিক প্রতিকূলতার কারণে দেশের দরিদ্র ও সহায় সম্বলহীন জনগণ অনেক ক্ষেত্রে আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। সংবিধানে বর্ণিত ‘আইনের সমান আশ্রয়লাভ’ এর অধিকারকে বাস্তব রূপ দেয়ার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০’। এ আইনকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করার মাধ্যমে সমাজের হতদরিদ্র ও অসচ্ছল জনগোষ্ঠী বর্তমানে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা পাচ্ছে। সরকারের এ আইনগত সহায়তা কার্যক্রমে সকলের অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ও ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিচারক, আইনজীবী, এনজিও কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগের উপর নির্ভর করছে আইনি সহায়তা কার্যক্রমের সফলতা। চলমান করোনা মহামারির কারণে যাতে এ কার্যক্রম পরিচালনায় কোনো ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। সমাজে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সংশ্লিষ্ট সকলে অবদান রাখবেন – এ প্রত্যাশা করি।
আমি জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”