[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে গতকাল যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়। কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে স্থানীয় নির্দেশনা অনুযায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে জাতির পিতার পরিবারের শহীদ সদস্যগণের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে শেখ কামালের জীবন ও কর্মের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, আবাহনী ক্রীড়া চক্র ও ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা এবং স্পন্দন শিল্পগোষ্ঠীর সাথে যুক্ত শেখ কামাল ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে যুবসমাজকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। যুব সমাজের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, একজন দক্ষ সংগঠক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে শহীদ শেখ কামাল তাঁর চিন্তাধারা ও সৃজনশীলতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে জাতি গঠনে যে অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন তা যুব সমাজের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়েই বাস্তবায়িত হচ্ছে স্বপ্নদর্শী তরুন শেখ কামালের স্বপ্ন।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর ঘাতকরা বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি। বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের ইতিহাস একই সূত্রে গাঁথা। তিনি প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের মাঝে জাতির পিতা ও তার পরিবারের ইতিহাস বিশেষ করে শেখ কামাল এর জীবন ও কর্ম তুলে ধরতে আহ্বান জানান।