[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
জয়পুরহাট সদর উপজেলার করিমনগর গ্রামের বেলাল হোসেন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে তাঁর নাতি বায়েজিদ হোসেন (১৮) গলা কেটে হত্যা করেছে। বায়েজিদ মানসিক ভারসাম্যহীন বলে তার পরিবারের দাবি করে। এ ঘটনায় জয়পুরহাট সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের ছেলে রেজোয়ান হোসেন। ঘটনার পর পুলিশ বায়েজিদকে গ্রেপ্তার করেছে। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে আজ সকাল ১০টার দিকে নিহতের বাড়িতে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রায়হান হোসেন।
পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, নাতি (মেয়ের সন্তান) বায়েজিদ থাকতেন নিহত বেলাল হোসেনের বাড়িতেই। সে মানসিক রোগী হলেও নানার সাথে তাঁর খুব সখ্যতা ছিল। আজ সকাল ১০টার দিকে বাড়িতে নানাকে একা পেয়ে ধারালো হাসুয়া দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে সে। হত্যার পর তাঁর মামি মাকছুদা বেগম বাড়িতে ঢুকলে বায়েজিদ রক্তাক্ত হাসুয়া নিয়ে তাঁকেও ধাওয়া করে। এ সময় তাঁর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ঘরের মধ্যে বেলাল হোসেনের মৃতদেহ দেখে বায়েজিদকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নেয়। মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের ছেলে রোজেয়ান হোসেন জানান, বায়েজিদ তার বড় বোনের ছেলে। সে থাকতেন তার নিহত বাবার কাছেই। মানসিক ভারসাম্যহীন। কি কারণে তার বাবাকে হত্যা করেছে তা তিনি বলতে পারেননি। জয়পুরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রায়হান হোসেন বলেন, বায়েজিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঘটনাস্থল থেকেই। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে হত্যার কারণ।