[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল ‘কিং অব র্যানডম’ এর তারকা গ্র্যান্ট থম্পসন প্যারাগ্লাইড করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পরে মারা গেছেন । সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের উতাহ-এ ভ্রমণে গিয়ে ৩৮ বছর বয়সী থম্পসন আর ফিরতে পারেননি।ইউটিউবে তার চ্যানেলে এক কোটি ১০ লাখ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। কয়েক শ কোটি বার তার তৈরি করা ভিডিওগুলো দেখা হয়েছে। নিজের সাথে থাকা একটি জিপিএস ডিভাইসের মাধ্যমে দুর্ঘটনার পরের দিন খুঁজে বের করা হয় থম্পসনের মরদেহ ।
তার ইউটিউব চ্যানেলটি ছিল বেশ পরিচিত ছিল সৃজনশীলতার জন্য । বিভিন্ন বিপজ্জনক পরীক্ষার ওপর নির্ভর করে তার ভিডিওগুলো বানানো হতো । তার ভিডিওগুলো থেকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়, ‘তরল নাইট্রোজেন আপনার মুখের কী অবস্থা করবে?’থম্পসনের ইনস্টাগ্রাম পেইজে তার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয় আনুষ্ঠানিকভাবে । সেখানে তার ভক্তদেরকে ‘কিং অব র্যানডমের’ স্মরণে দয়া ও ভালোবাসা প্রকাশ করে এমন কোনো কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।
২০১৭ সালে মিডিয়াকিক্স-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে থম্পসন তুলে ধরেন যে, স্কুলে বিভিন্নভাবে হেনস্তার শিকার হওয়ার পরও কিভাবে একজন পাইলট হয়েছিলেন তিনি। এক দশকেরও বেশি সময় বিমান চালনার কাজ শেষে রিয়েল এস্টেট সেক্টরে কাজ করেছেন তিনি। পরে সেখান থেকে ‘অবসর’ নিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলেন থম্পসন।’সামান্য এদিক-সেদিক করে কিভাবে একটি জিনিসকে আরো উন্নত করা যায় এবং যেগুলো আমি করতে পেরেছিলাম, তা মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যেই ইউটিউবে ভিডিও তৈরি শুরু করেছিলাম আমি’, সেসময় বলেছিলেন তিনি।
তার উল্লেখযোগ্য ভিডিওগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘হাউ টু মেক লেগো গামি ক্যান্ডি’, ‘হোয়াট হ্যাপেন্স হোয়েন ইউ বয়েল দ্য ওশেন?’ এবং ‘হাউ টু মেক ম্যাজিক মাড- ফ্রম এ পটেটো!’ ইত্যাদি।তার মৃত্যুর খবর প্রকাশের পর থেকে ভক্ত এবং অন্য ইউটিবাররা শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন লোগান পল যিনি বলেছেন যে, তার ‘হৃদয় ভেঙে গেছে’।