[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
হাইকোর্ট মন্তব্য করেছেন, জনগণের টাকা আত্মসাৎ, লুটপাট ও পাচারকারীদের গুলি করার শাস্তি হওয়া উচিত। আদালত এ মন্তব্য করেন বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মামলার আসামি মোহাম্মদ আলীর জামিন শুনানিতে।
আজ মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চে মোহাম্মদ আলীর তিনটি জামিন আবেদন শুনানির জন্য ওঠে। আইনজীবী আবুল হোসেন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
শুনানিতে আইনজীবী আবুল হোসেন মামলার সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে বলেন, পাঁচ বছর পার হয়ে গেছে। এখনো এসব মামলার তদন্তই শেষ হয়নি। দুদক এসব মামলার অভিযোগপত্র দিতে পারেনি।
এ সময় দুদকের আইনজীবীর কাছে আদালত জানতে চান, কেন মামলার চার্জশিট দিচ্ছেন না। অর্থ লুটপাট, পাচারের মামলার দ্রুত বিচার হওয়া উচিত। আদালত বলেন, যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের গুলি করার শাস্তি হওয়া উচিত।
এরপর আদালত জামিন আবেদনের শুনানি ২১ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি রেখে এ সময়ের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি সংক্রান্ত সব মামলা ও আসামির হালনাগাদ তথ্য দিতে দুদককে নির্দেশ দেন।
মো. জুবায়দুর রহমান বলেন, ‘বেসিক ব্যাংক সংক্রান্ত মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ১৫ থেকে ১৬টি মামলা। তিনটি মামলায় জামিন আবেদন করা হয়েছিল গত ২০ এপ্রিল। তখন আদালত জামিন আবেদনের শুনানি ছয় মাস স্ট্যান্ড ওভার (মুলতবি) রেখে দুদককে এই সময়ের মধ্যে মামলা তিনটির তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু দুদক প্রতিবেদন না দেওয়ায় আজ জামিন শুনানি হয়। শুনানির পর আদালত বেসিক ব্যাংক সংক্রান্ত সব মামলার হালনাগাদ জানতে চেয়েছেন। সেই সঙ্গে এসব মামলার আসামিরা কে কোথায় আছে সে বিষয়টিও জানতে চেয়েছেন। ’
আগামী ২১ নভেম্বর আবেদন তিনটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।