[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থেকে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা নাকচ করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, ‘বুয়েট চাইলে নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। তাদের সিনেট আছে, এটা তারা করতে পারে। তবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে দিতে হবে, এটা তো মিলিটারি ডিক্টেটরদের (সামরিক শাসক) কথা। এখানে রাজনীতিটা কোথায়? এর কারণটা কোথায়? এটা খুঁজে বের করতে হবে।’ শুধু ঢাকা নয়, সারা বাংলাদেশের প্রতিটি হল খুঁজে খুঁজে দেখা হবে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে আমরা কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করব না। তাই বলে ছাত্ররাজনীতিকে দোষারোপ করা, এটা তো রাজনীতি না।’
জাতিসংঘ ও ভারত সফর থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এলে এই সময়ে আলোচিত বুয়েটের প্রসঙ্গটিও ওঠে।
ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীর নির্যাতনে আবরারের মৃত্যুর পর বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠেছে।
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগকে ডেকে তাদের সবগুলোকে বহিষ্কার করতে বলেছি। পুলিশকে বলেছি তাদের গ্রেপ্তার করতে। কাউকে ছাড় দেব না। অন্যায়কারীর বিচার হবেই।’ তিনি বলেন, ‘কিসের ছাত্রলীগ—সে বিচার করব না। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হবেই। অপরাধী অপরাধীই। ‘কেউ যদি কোনো অপরাধ করে, তা কোন দলের, কে করে সেটা দেখি না। অপরাধী হিসেবেই চিহ্নিত করি।’
প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে তাঁর সাম্প্রতিক দুই সফর নিয়ে কথা বলেন। পরে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টার প্রশ্নোত্তর পর্বের দ্বিতীয় প্রশ্নেই চলে আসে আবরার হত্যা প্রসঙ্গ। এ হত্যাকাণ্ডকে অমানবিক উল্লেখ করে তিনি বলেন ‘একটা বাচ্চা ছেলে, ২১ বছর বয়স। তাকে কী অমানবিকভাবে হত্যা করেছে পিটিয়ে পিটিয়ে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বুয়েটে যে ঘটনা ঘটেছে, সকালে জানার পরই পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলাম অপরাধীদের ধরতে। অনেকেই ধরা পড়েছে। ছাত্ররা নামার আগেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’ আবরারকে সাধারণ পরিবারের ছেলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এত ব্রিলিয়ান্ট একটা ছেলে। তার মায়ের কষ্ট আমি বুঝি, বাবার কষ্ট বুঝি। কারণ আমিও হত্যার বিচার চেয়ে পাইনি।’
ছাত্রলীগ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে তারা আমার পার্টির, এটা আমি কখনোই মেনে নেব না।’